তাড়াশ প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী মো. সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে আদালতে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী মোছা. আম্বিয়া খাতুন।
তাড়াশ থানার আমলী আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ সিরাজগঞ্জ আদালতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ সদর বাজারপাড়ার মো. আবুল হোসেনের মেয়ে মোছা. আম্বিয়া খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার দিঘীসগুনা গ্রামের মৃত কোরবান মোল্লার ছেলে মো. সাইদুর রহমানের বিয়ে হয়। বর্তমানে তিনি জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে রিজার্ভ অফিসে কর্মরত আছেন। বিবাহের আসরে সাইদুর রহমানের পরিবারের দাবির মুখে পাঁচ ভরি স্বর্ণ, একটি মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্রসহ তিন লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রথম স্ত্রী আম্বিয়ার অনুমতি ছাড়াই, সন্তানকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাইদুর রহমান।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আম্বিয়ার পরিবারকে যৌতুকের চাপ দিতে থাকেন সাইদুর রহমানসহ তার দুই ভাই। মেয়ের সুখের কথা ভেবে আম্বিয়ার বাবা এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দেন। এরপর আরও পাঁচ লাখ টাকার জন্য সাইদুর রহমান প্রায় মারধর করতেন বলে জানিয়ে আম্বিয়া বলেন, তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করায় আমার মেয়ে ও আমার প্রতি তার কোনো দায়িত্ব নেই, বাধ্য হয়ে আমি আমার বাবার বাসায় থাকি। ইতোঃপূর্বে জয়পুরহাট পুলিশ কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ওই অফিস মৌখিকভাবে আমাকে আদালতে আইনের আশ্রয় নিতে বলে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে বিফল হলে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
বাদীর আইনজীবী প্রবীর কুমার চন্দ্র কার্তিক জানান, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি সাইদুর রহমানকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আম্বিয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মুঠোফোনে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে রিজার্ভ অফিসে কর্মরত সাইদুর রহমান বলেন, সন্তানের কারণে আমি দ্বিতীয় বিবাহ করেছি। বরং আমি এখনো তাদের ভরণপোষণ দিচ্ছি। এটা আমাদের পারিবারিক সমস্যা। ফায়সালাও হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড