• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ

  কুলাউড়া প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার

১৭ জুন ২০১৯, ১২:৩৩
শহীদ মিনার
শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ ( ছবি : দৈনিক অধিকার)

মৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে নির্মাণাধীন অ্যাকাডেমিক ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করা হয়েছে। ভাষা সৈনিকদের স্মৃতিস্তম্ভের একাংশ ভেঙে এভাবে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকি নির্মাণ করায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে ওই সেপটিক ট্যাংক অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার না থাকায় স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাঠের উত্তর দিকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেন। প্রায় ১৮ বছর ধরে এ শহীদ মিনারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় দিবসে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আসছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ স্কুলের চারতলা ভিতের একতলা বিশিষ্ট একটি অ্যাকাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশের কয়েকটি সিঁড়ি ভেঙে এ ভবনের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করেছেন।

রমজান মাসের ছুটি চলাকালীন শৌচাগারের ট্যাংকি নির্মাণ করায় বিষয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর নজরে আসেনি। শনিবার স্কুল খোলার পর শহীদ মিনার ভেঙে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক নির্মাণের ঘটনা সবার নজরে আসলে বিভিন্ন মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করতে থাকে।

এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সফিক উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মুছব্বির আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নজব আলী, মুক্তিযোদ্ধা মনির উদ্দিন, দাসের বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাহার উদ্দিন, শিক্ষানুরাগী লোকমান আহমদ, ফয়সল আহমদ প্রমুখ বলেন, শহীদ মিনারের একাংশ ভেঙে এভাবে সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করে ভাষা সৈনিকদের প্রতি চরম অবজ্ঞা-অবমাননা করা হয়েছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক। তারা অবিলম্বে এ সেপটিক ট্যাংক অপসারণের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ঠিকাদারের মিস্ত্রিরা শহীদ মিনার স্পর্শ না করেই সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করতে পারবে বলেছিল। পরে দেখা যায়, তারা শহীদ মিনারের সিঁড়ি ভেঙে ফেলেছে।

স্কুল কমিটির সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ স্থান থেকে শহীদ মিনারটি স্কুলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, স্কুল কমিটির সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী ঠিকাদারকে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়াই এখানে ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়। তবে সবাই চাইলে শহীদ মিনারের পাশ থেকে সেপটিক ট্যাংক সরানো যেতে পারে।

ওডি/ এসএএফইউ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড