সারাদেশ ডেস্ক
লাশের গাড়ি আটকে রেখে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে চাঁদা না দেওয়ায় গাড়ি চালককে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠে। শনিবার (১৫ জুন) সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গল সড়ক ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে পরিবহন শ্রমিক ও এলাকাবাসী।
পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, শুক্রবার রাতে সিলেটের ওসমানী নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন শ্রীমঙ্গল উপজেলার মতিগঞ্জ এলাকার রুবেল নামে এক ব্যক্তি। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি পিকআপ ভ্যানে করে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল শ্রীমঙ্গলে। এ সময় লাশবাহী পিকআপটি উপজেলার মতিগঞ্জের বটেরতল এলাকায় পৌঁছালে কাগজপত্র দেখার জন্য দাঁড় করিয়ে রাখেন হাইওয়ে পুলিশের সাতগাঁও ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মণ্ডল।
ওই সময় গাড়িচালক ও লাশের স্বজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করেন ইনচার্জ নান্নু মণ্ডল। চাঁদা না দেওয়ায় চালককে মারধর করে লাশবাহী গাড়ি আটকে রাখেন তিনি।
লাশবাহী পিকআপের চালক শাকিবুল হাসান শাকিল জানান, মতিগঞ্জের বটেরতল এলাকায় লাশ নিয়ে পৌঁছালে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মণ্ডল প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা কীসের লাশ? চুরির লাশ না মার্ডারের? পরে গাড়ির কাগজপত্র চেক করার পর পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না দেয়ায় আমাকে মারধর করেন ইনচার্জ নান্নু মণ্ডল।’
তবে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে হাইওয়ে পুলিশের সাতগাঁও ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু মণ্ডল বলেন, পিকআপে অতিরিক্ত মালের সঙ্গে কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে গাড়িটি আটকালে তারা আমাকে জানায় একজন ড্রাইভারের জানাজায় যাচ্ছেন। আমি তাদের বলি এভাবে গেলে যে কোনো সময় আপনাদেরও জানাজা পড়া লাগবে। তাদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে দেইনি আমি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছালেক বলেন, শ্রমিকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন। তবে যে পিকআপটি আটকানো হয়েছিল সেটি সবজিবাহী, তাতে কোনো লাশ ছিল না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড