• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জাল সনদে প্রধান শিক্ষক

  মো.জাবেদ শেখ, শরীয়তপুর

১৫ জুন ২০১৯, ১৫:০৪
শরীয়তপুর
নুর মোহাম্মদ রতন

জাল সনদে চাকরি করছেন প্রধান শিক্ষক। এমন অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ রতনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সাথে অশালীনতাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

তার বিরুদ্ধে নলমুড়ি ইউনিয়নের হেমায়েত উল্লাহ্‌ নামের এক ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়।

অভিযোগে লেখা রয়েছে, গোসাইরহাট উপজেলাধীন হাটুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি প্রাচীন বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ রতন এম.এ ও বি.এড সার্টিফিকেট জাল ও ভুয়া। তিনি ভুয়া সনদ দিয়ে দীর্ঘ ৬/৭ বছর যাবত হাটুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করিয়া আসিতেছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের তহবিল তসরুপসহ ছাত্রীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক অনেক ঘটনা আছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কোচিং বাণিজ্য, শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কারণে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক রতনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে পোস্টার লাগিয়েছে।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এগুলো সব ষড়যন্ত্র। আমি বি.এড উত্তরা ইউনিভার্সিটি থেকে করছি। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে পূর্ব ডামুড্যা কলেজ থেকে বি.কম পাশ করি। তিনি এম.এ পাশের বিষয়টি বলতে পারেনি।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে, নিজের নাবালিকা মেয়েকে জড়িয়ে দপ্তরি এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দেয়।

বিদ্যালয়ের দপ্তরি সত্তার বেপারি স্ত্রী জাহানা জানান, হেড স্যার রতনের অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ায় অতীতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে রতন স্যারের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগায়। হেড স্যারের সন্দেহ হয় এই সব কাজ আমার স্বামী করিয়েছে। দপ্তরি হলেও হেড স্যার তাকে দিয়ে ঘরের কাজ করাতো।

একবার আমার স্বামীকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করেন হেড স্যার। পরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পুনরায় চাকরিতে বহাল রাখেন। তার পক্ষে বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছে। চেয়ারম্যানকে সে ধর্মের বাপ ডাকে। চেয়ারম্যান এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব শামসুর রহমানের আত্মীয়। তাই তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার এমারত আলী দৈনিক অধিকারকে জানান, প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ রতনের সব কাগজপত্র দেখে ঢাকা শিক্ষা ভবনে পাঠাব। ভুয়া সনদ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওডি/আরবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড