• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তিস্তা গর্ভে ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি

  গাইবান্ধা প্রতিনিধি

১৪ জুন ২০১৯, ২০:৩৩
নদী ভাঙন
তিস্তার ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

গাইবান্ধায় তিস্তার ভাঙনে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে নদী তীরবর্তী বসবাসরত মানুষগুলোর মধ্যে। একটু বৃষ্টি হলেই উজানের ঢলে শুরু হয় তিস্তার ভাঙন।

জেলার তিস্তা নদী ঘেঁষে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এ সপ্তাহে তিস্তার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে রাস্তাঘাটসহ শতাধিক বসতবাড়ি ও দুই শতাধিক একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে উজান বোচাগাড়ি গ্রাম, ঠাকুর ডাঙ্গী গ্রামের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই গ্রামের মানুষদের।

ইতোমধ্যে নদী ভাঙনের কারণে ওই সব এলাকার পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির পাচ্ছে ফলে উপজেলার চন্ডিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, উজান বোচাগাড়ি গ্রাম, তারাপুর, বেলকা, হরিপুরে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। তিস্তা নদীতে দেখা দিয়েছে একাধিক শাখা। ওই সব শাখা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে।

এদিকে তিস্তার চরাঞ্চলে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। চতুরদিকে সবুজের সমাহার। সবুজের চরে রয়েছে বেগুন, মরিচ, পটল, কড়লা, শসা, ঢেড়স, পাটসহ নানাবিধ ফসল। কিন্তু নদী ভাঙনের কারণে এসব স্বপ্নের ফসল কৃষকরা ঘরে তুলতে পারছেন না।

ঠাকুরডাঙ্গী গ্রামের ফজল মিয়া বলেন, এ সময় নদী ভাঙনের কথা নয়। অথচ গত তিন মাস থেকে দফায় দফায় নদীতে ভাঙন চলছে। প্রায় হাজার বিঘা ফসলি জমি ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা ছয় মাস শাকসবজির আবাদ করে সংসার চালাই। কিন্তু এ বছর নদী ভাঙনে শাক সবজি ঘরে তুলতে পারছি না। আমার দুই বিঘা জমির পাট ও এক বিঘা জমির পটল ক্ষেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তার ভাঙনে আমরা দিশেহারা।

চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফুল মিয়া জানান, ড্রেজিং করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ঠিক রাখা ছাড়া রোধ সম্ভব নয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি তিনি জানেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, নদী ভাঙন রোধ একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। তবে ভাঙন ঠেকাতে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ দিকে চলতি বছরের ২ মে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে বলেন- তিস্তা নদীকে রক্ষা এবং ভাঙন রোধ করতে হবে। নদীর গতিপথ একমুখী হলে নদী ভাঙন রোধ হবে।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড