শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ডলি খানম (২২) নামে এক গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় নকলা থানার এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম ও ডিআইও-১ মোখলেসুর রহমান।
অন্যদিকে ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠায় নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ ও এসআই ওমর ফারুককে শোকজ করা হয়। ফলে শুক্রবার সকালে এসআই ওমর ফারুককে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম প্রত্যাহারের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, নকলা পৌর শহরের কায়দা গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে মো. শফিউল্লাহর সঙ্গে এক খণ্ড জায়গা নিয়ে তার সহোদর বড় ভাই আবু সালেহ (৫২), নেছার উদ্দিন (৪৮) ও সলিম উল্লাহর (৪৪) বিরোধ ও দেওয়ানী মোকদ্দমা চলছিল। চলতি বছরের ১০ মে সকালে ওই এলাকার গোরস্থান সংলগ্ন শফিউল্লাহর স্বত্ত্বাদখলীয় জমির ইরি-বোরো ধান আবু সালেহ ও তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কাঁটতে গেলে শফিউল্লাহ বাঁধা দেয় বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।
পরে প্রতিপক্ষের ধাওয়ার ওইখান থেকে চলে গেলে আবু সালেহর নেতৃত্বে একদল লোক ধান কাটতে শুরু করলে শফিউল্লাহর স্ত্রী ডলি খানম চিৎকার দিয়ে বাঁধা দিতে গেলে আবু সালেহর হুকুমে তার ছোটভাই সলিমউল্লাহ, ভাইবউ লাখী আক্তারসহ অন্যান্যরা তাকে ঘেরাও করে ফেলে।
এক পর্যায়ে তার চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে তাকে টানা-হেঁচড়া করে পাশের ক্ষেতের আইলের থাকা ইউক্যালিপটাস গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। একমাস পর ১০ জুন সোমবার নির্যাতনের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওই নির্যাতনের ভিডিওচিত্রসহ খবর প্রকাশিত-প্রচারিত হলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড