গাংনী প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কামারখালি গ্রাম থেকে রহস্যজনকভাবে তুহিন নামের এক যুবক অপহৃত হন। অপহরণের চার ঘণ্টার মাথায় তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি উদ্ধার করা যায়নি।
বুধবার (১২ জুন) রাতের এই ঘটনায় তুহিনের ভগ্নিপতি লালনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী থানা হেফাজতে নেওয়া হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন লালন ও তার পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের হাফিজুর রহমানের বেয়াই গাংনী উপজেলার কামারখালি গ্রামের জিয়ারুদ্দিন একটি গরু কেনার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন। হাফিজুর রহমান তার ছেলে তুহিন ও জামাতা লালনকে টাকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় কামারখালি গ্রামের পাঠান। সে সময় গরু নেই জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তুহিনের শশুর জিয়ারুদ্দিন। পরে লালন বাড়ি ফিরে আসার কথা জানালে শ্যালক তুহিন তার চাচা শশুর সোহেলের ব্যবহৃত মটরসাইকেলযোগে বামন্দী বাজার পর্যন্ত লালনকে রেখে কামারখালি ফেরার পথে তুহিন অপহৃত হন।
রাত ৯টার দিকে তুহিনের শশুর পক্ষের লোকজন মোবাইলফোনে তার বাবার কাছে অপহরণকারীদের চাহিদানুযায়ী মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করেন। সর্বশেষ তুহিনের স্ত্রী মিম তার শশুরের কাছে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা দাবি করে ব্যর্থ হন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জোড়পুকুরিয়া মাঠের মধ্যে থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তুহিন তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে তার অবস্থান জানালে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অন্যদিকে অপহরণকারী সন্দেহে তুহিনের ভগ্নিপতি লালনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাংনী থানায় নিয়ে আসে।
তুহিনের বাবা জানান,তিন মাস আগে জিয়াউদ্দিনের মেয়ের সঙ্গে তুহিনের বিয়ে হয়। স্ত্রী মিম তুহিনের সঙ্গে সংসার করতে অপারগতা প্রকাশ করে। যার কারণে অসুস্থ তুহিনকে হাসপাতালে দেখতে পর্যন্ত আসেনি। এমনকি তার খোঁজ-খবরও নেয়নি। তাছাড়া জিয়াউদ্দিন গরু দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা আনতে বলে পরক্ষণে গরু নেই বলে জানিয়ে টাকা পকেটস্থ করেছে। এটা একটা সন্দেহজনক বলে তিনি মনে করেন।
অপরদিকে তুহিনের চাচা শশুর সোহেল জানান, তুহিনের খোঁজ না পাওয়ায় বিষয়টি মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমানকে জানানো হলে তিনি লালনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসেন। লালনের বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, লালনের অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে পুলিশের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তার অভিভাবক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থানায় আসলে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে।
ওডি/ এসএএফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড