• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সরকারি ও মালিকানা পুকুর খননের টাকা হরিলুট

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

১৩ জুন ২০১৯, ১৩:৪৩
পুকুর
পুকুর খনন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সরকারি দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা মিলে খাস ও মালিকানা পুকুর খননের সরকারি অর্থ হরিলুটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহামুদুন্নবি মিঠু সরকারি চাকরিজীবী হয়েও এখন ঠিকাদার। পুকুর খনন কাজ শেষ না হতেই বিল উত্তোলন প্রায় শেষ করেছেন। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সরকারি খাস পুকুর ও ১৪টি ব্যক্তি মালিকানাসহ মোট ২৪টি পুনঃখনন স্কিম বাস্তবায়নের জন্য গঠিত (এলসিএস) এর সুফল ভোগীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মোট বরাদ্দকৃত অর্থ দুই কোটি ৩ লক্ষ ছাপান্ন হাজার টাকা। দায়সারাভাবে খননের কাজ করছেন মৎস্য কর্মকর্তাসহ ঠিকাদারেরা। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পাল্টে দিতে উপজেলার ২৪টি পুকুরের খনন কাজ শেষ হয়েছে। মেশিন দিয়ে পানি ঢেলে দিয়েছেন যাতে খুব সহজে বোঝা না যায়।

সজেমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জলাশয়ে জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার রংপুর বিভাগের ফুলবাড়ী উপজেলায় চালু করেছে মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প। মোট প্রকল্প বরাদ্দকৃত অর্থ ২ কোটি ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার। সরকারি জলাশয় তিনটি ধোপাড়কুড়া-১৬ লক্ষ ৬৪ হাজার, ধোপাড়কুড়া দ্বিতীয়-১০ লক্ষ ২৬ হাজার, ফুলবাড়ী চন্দ্রখান নয়ারছড়া পুকুর-৩০ লক্ষ, ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের খোচাবাড়ী এলাকার বড়পীঠ এক ও বড়পীঠ দুই-৪৮ লক্ষ, কৈকুড়ি খাস ও খলিশাকুড়ির বিল ৩২ লক্ষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড়ভিটা ইউনিয়ন পাইবো বড়পীঠ ও বড়লই পাউবো ছোটপীঠ- ৩৪ লক্ষ ৪৩ হাজার, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহামুদুন্নবি মিঠু নিজ উদ্যোগে বরাদ্দ নিয়ে এসে কাজ করছেন ব্যক্তি মালিকানা ১৪ টি পুকুরের নয়-ছয় করে।

সমিতির নাম ভাঙিয়ে পুকুর খনন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সমিতির লোকজন। খননের ব্যাপারে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে কাজ শেষে আপনাদের সাথে বসব। খননকৃত পুকুরগুলো হলো বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছাড়ার সিরাজুল ইসলামের পুকুর-২ লক্ষ ৩০ হাজার, আফসার আলীর পুকুর-৪ লক্ষ ৩১ হাজার, মোজাফ্ফর হোসেনের পুকুর- ৪ লক্ষ ২৮ হাজার, আব্দুল মান্নানের পুকুর-১ লক্ষ ৪১ হাজার, নুর হোসেনের পুকুর-১ লক্ষ ৮১ হাজার, ওমর ফারুকের পুকুর-১ লক্ষ ৮৩ হাজার, ছাইফুরের পুকুর-৪ লক্ষ ১৩ হাজার, আব্দুল হানিফের পুকুর-১ লক্ষ ৫৪ হাজার, ছকিয়ত আলীর পুকুর-২ লক্ষ ৫০ হাজার, শামসুল হকের পুকুর- ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার, জহুর আলীর পুকুর-১ লক্ষ ৫০ হাজার, আজিজুর রহমানের পুকুর-২ লক্ষ ৩৯ হাজার, হামিদুলের পুকুর- ১ লক্ষ ২৯ হাজার এবং আয়নাল হকের পুকুর-২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহামুদুন্নবি মিঠু বলেন, পুকুর খনন কাজ শেষ হয়েছে। আপনারা পুকুরগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। আমি সঠিকভাবে পুকুর খননের কাজ শেষ করেছি, তবে সম্পূর্ণ বিল এখনো প্রদান করা হয়নি। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প সভাপতি মোছা. মাছুমা আরেফিন জানান, আমি দশটি পুকুর সরেজমিন ঘুরে দেখে আমার মনে হয়েছে পুকুর খননের কাজ সন্তোষজনক হয়েছে। বাকি পুকুরগুলো এখনো দেখিনি।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড