শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর জাজিরা মঙ্গল মাঝির ঘাটে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফেরত লক্ষাধিক যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট ইজারাদার ও তার লোকজন। ঘাটের অতিরিক্ত টোল আদায় ও অসৎ আচরণে বিচার না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় তুললেও প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছেন।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর দেড়টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৭/৮ জন টোল ঘরে বসে যাত্রীদের কাছ থেকে ১০ টাকা টোল নিচ্ছে। টোল ঘরের পাশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নোটিশ বোর্ড ঝোলানো। সে খানে লেখা রয়েছে টোল হিসাবে ৫ টাকা পরিশোধ করুন এবং সমপরিমাণ খুচরা পয়সা দিয়ে সহায়তা করুণ।
ঘাটের সার্বিক অনিয়ম দেখে বিষয়টি জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস কে জানালে তিনি দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমার অনেক মানুষ দিয়ে এই ঘাটটা চালাতে হয়। এখন ১০ /২০ টা মানুষের ভেতর ২ টা মানুষ খারাপ থাকতে পারে। আমরা পাই মাত্র ৫ টাকা করে। যারা ১০টাকা নেয়। ৫টাকা তাদের পকেটে ভরে। বাড়তি টাকা কে নিচ্ছে তার কাছে ফোনটা ধরিয়ে দেন।
ইউএনও প্রশান্ত কুমার তার ২ মিনিট পরেই ঘাট ইজারাদারের এক লোক আমাকে ফোন দিয়ে জানালো, ভাই আপনি ইউএনওকে ফোন দিয়ে ঠিক করেন নাই। আপনি কোথায়? খারাপ কিছু ঘটতে পারে এই ভেবে আমি জাজিরা ইউএনও অফিসে আসি। এসে দেখি ইউএনও নাই।
আবারও ফোন দিয়ে ইউএনও কে বললাম স্যার আমি আপনাকে ফোন দিয়ে তথ্য দিলাম। আপনি সাথে সাথে ঘাট ইজারাদারকে বলে দিলেন। তারা আমাকে খুঁজছে মারার জন্য। তিনি জবাবে বলেন, আমি সাথে সাথে ফোন দিয়েছি ঠিক আছে। আমি তো আপনার নাম বলি নাই। আপনি সাংবাদিক, আপনাকে মারবে কেন। আমি বাসায় ভাত খেতে এসেছি। খাওয়া হলেই ঘাটে যাবো।
কিন্তু ইজারাদার মোখলেস মাদবর গং আইনকে বৃদ্ধা আংগুলি দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক ১০ টাকা টোল আদায় করছেন।
একাধিক মানুষের অভিযোগ অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে লাঞ্ছিত হওয়া সহ মার খেতে হয়। আর এই সব অনিয়ম প্রকাশ্যে জাজিরা থানা পুলিশের সামনে ঘটে।
সদর উপজেলার তুলাসার গ্রামের সৈয়দ অনিক বলেন, আমি ঢাকা যাওয়ার পথে আমার কাছে ১০ টাকা টোল চেয়েছে। আমি ৫ টাকার টোল ১০ টাকা কেন দিবো। প্রতিবাদ করাতে ঘাট ইজারাদারের গুণ্ডা বাহিনী এসে আমাকে মারধর করে।
শরীয়তপুর ধানুকা গ্রামের ওবাইদুল বলেন, মঙ্গল মাঝির ঘাটে বাড়তি টাকা শুধু যে ঈদ আসলে নেই তা না। এই বাড়তি টাকা সাড়া বছর নেই। অনিয়মই এই ঘাটে নিয়ম। দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে মঙ্গলমাঝি ঘাটের ইজারাদার মোখলেস মাদবরকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আপনি কোথায় আছেন, ঘাটে এসে কথা বলেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমি এই অভিযোগ শুনেছি। আমি ইউএনও কে বলে দিচ্ছি। আর বলাবলির বিষয়টা আমি দেখছি।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড