বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ

নড়াইলের লোহাগড়ায় অষ্টম শ্রেণির (১৫) ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) ঈদের দিন রাতে দিঘলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে এক বছর পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মাদারীপুর জেলার রাজৈর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে রাজীব বিশ্বাসের (২৭) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই ছাত্রী খুলনার দৌলতপুরের একটি স্কুলে পড়াশোনা করে।

গত বুধবার (৫ জুন) রাজীব বিশ্বাস ফোনে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে লোহাগড়ার দিঘলিয়া গ্রামে আসতে বলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রী নড়াগাতী থানার বড়দিয়া বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে রাজীব স্থানীয় পার্কে ঘোরাঘুরি করে সময় পার করে। পরবর্তীতে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজীব ও তার এক সহযোগী ওই ছাত্রীকে দিঘলিয়া গ্রামের পাচু বিশ্বাসের ছেলে নুরু বিশ্বাসের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়ির রান্নাঘরে আটকে রেখে বুধবার (৫ জুন) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভোর পর্যন্ত ওই ছাত্রীকে রাজীব ও তার সহযোগী পালাক্রমে ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়। ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ জুন) রাতে রাজীব ও তার সহযোগীকে (অজ্ঞাত) আসামি করে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোকাররম হোসেন জানান, আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

ওডি/এসজেএ