• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মেঘনা নদীর ত্রি ব্রিজ এলাকায় ঈদ আনন্দ

  ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ

০৭ জুন ২০১৯, ১১:২৩
নদী
ভৈরব নদী (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ভৈরবে ঈদের ছুটিতে মেঘনা রেলওয়ে ত্রি সেতু এলাকায় নানা বয়সী নারী পুরুষ, শিশু কিশোরসহ ভিন্নধর্মাবলম্বী হাজারো মানুষের পদ চারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মেঘনা নদীর পাড় ত্রি-সেতুর নিচে। বিনোদনের আকর্ষণ বাড়াতে দূর দূরান্ত থেকে ক্ষুদ্র্র ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকমের পসরা নিয়ে এসেছে এ বিনোদন এলাকায়।

এ ছাড়াও শিশু কিশোরদের আনন্দ দেবার জন্য রয়েছে ঘোড়ায় চড়া , নাগর দোলায় চড়া, বিভিন্ন রকমের দোকানপাটে বসে ফুচকা, চটপটিসহ বিভিন্ন রকমের খাবার। নৌকা ও স্পিডবোটে করে মেঘনার বুকে ঘুরে বেড়ানো আর পাথরের স্তরে স্তরে বসে পরিবার পরিজন নিয়ে আড্ডা আর দল বেঁধে ফুচকা খাওয়াসহ ছোট্ট মনিদের নিয়ে চরকা ও নাগর দোলায় চড়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছে দর্শনার্থীরা। দোকানিরা বসেছে মাটি, বাঁশবেতের ও কাঠের তৈরি পণ্য ও তৈজষ জিনিষপত্রসহ হরেক রকমের সামগ্রী নিয়ে।

প্রতি বছরের ন্যায় মেঘনা ত্রি সেতু এলাকায় বিকাল বেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে, বিশেষ করে ঢাকা. সাভার, নরসিংদী, মাধবদী, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নানাবয়সী মানুষ দল বেঁধে এসেছে এই বিনোদন মেলায়। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় র‌্যাব পুলিশের টহল ছিল জোরদার।

সাভার থেকে আসা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অনেক দিন যাবত শুনে আসছি এই মেঘনা ব্রিজ ঘাট এলাকার কথা। তাই আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। দেখে খুব ভাল লাগল। তাছাড়া বাংলাদেশের আর কোথাও এক সাথে তিনটি সেতু নেই। এই ভৈরবেই এক সাথে তিনটি সেতু রয়েছে। সব মিলিয়ে এলাকার পরিবেশ খুবই ভাল। তবে পর্যটকদের জন্য বসার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। এটা করলে হয়তো আরও অনেক ভাল হতো।

মাধবদী এলাকার লিলি বেগম বলেন, ভৈরবের মেঘনা নদীর উপর এক সাথে তিনটি সেতু দেখতে এসেছি। এই সব মিলিয়ে এই এলাকাটি খুবই সুন্দর । এখানে যদি বসার ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ লাগানো হয় তাহলে এই স্থানটি একটি পার্কের চেয়ে কোনো অংশে কম হবেনা।

হিন্দু ধর্মাবলম্বী গৃহিণী মালতী রানী বলেন, মুসলমানদের ঈদের আনন্দের সাথে আমিও এসেছি এই আনন্দ উপভোগ করার জন্য এই ব্রিজ ঘাট এলাকায়। আমার চেয়ে আমার সন্তানেরা অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে এই মনোরম পরিবেশে। নাগর দোলা, নোকা, স্পিডবোটে চড়াসহ সব রকমেরই আনন্দ উপভোগ করেছে তারা।

ইব্রাহিমপুর থেকে ঘোড়া নিয়ে আসা ফরিদ মিয়া বলেন, আমি দুইটি ঘোড়া নিয়ে এসেছি এই মেলায়। দর্শকদের আনন্দ দিয়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আমার রোজগার হয়েছে। আমি প্রতি বছরই এখানে আসি।

দোকানিরা বলেন, ঈদে এখানে প্রচুর লোকজনের সমাগম ঘটে থাকে। তাই এখানে দোকান নিয়ে আসলে আমাদের ভালো লাভ হয়। আজকেও আমাদের অনেক টাকা উপার্জন হয়েছে।

ভৈরব থানার উপপরিদর্শক এস আই অভিজিত বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমাদের পুলিশ সকাল এগারটা থেকেই এখানে টহল দিচ্ছে। আশা করছি এখানে আসা লোকজনের কেউ কোনো রকমের ক্ষতি করতে পারবেনা। এমনকি রকমের বিশৃঙ্খলাও করতে দেওয়া হবে না।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড