চোখের জলে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী বিদায় জানাল প্রিয় নাট্যকারকে

ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক কানারহাট গ্রামে বাবার কবরের পাশে সোমবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে প্রখ্যাত নাট্যকার মরহুম মমতাজ উদ্দীন আহমেদকে দাফন করা হয়।

ঢাকায় দ্বিতীয় দফায় জানাজা শেষে সোমবার (৩ জুন) খ্যাতিমান এই নাট্যকারের মরদেহ সকাল ১১টার দিকে ফ্রিজিং ভ্যানে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের উদ্দেশে রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৮টায় ভোলাহাটে পৌঁছায়।

চোখের জলে প্রিয় নাট্যকারকে শেষ বিদায় জানাতে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১ ও ২ আসনের এমপি আমিনুল ইসলাম ও ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

নাট্যকার মমতাজ উদ্দীন আহমদ ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার পাশে ভারতের মালদায় জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও বসবাস করতেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বজরাটেক এলাকায়।

প্রথমে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এবং পরে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগে অধ্যাপনা করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে নাট্যকলায় অনন্য অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন মমতাজ উদ্দীন আহমদ। এছাড়াও বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছিলেন প্রখ্যাত এই নাট্যকার।

উল্লেখ, রবিবার (২ জুন) বিকাল ৩টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মমতাজ উদ্দীন আহমেদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। প্রখ্যাত এই নাট্যকার মৃত্যুকালে তার স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে যান।

ওডি/আইএইচএন