কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতিবারের মতো উপমহাদেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত আয়োজনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান৷ যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলা করতে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে এবার মুসল্লিদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাদা পোশাকসহ ১ হাজার ২শ পুলিশ, ১শ র্যাব সদস্য ছাড়াও এবার মোতায়েন থাকবে ৫ প্লাটুন বিজিবি। ৩২টি নিরাপত্তা চৌকি ছাড়াও ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকছে স্ট্রাইকিং ফোর্স।
চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় পার হয়ে মুসল্লিদের ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করতে হবে৷ মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করা হবে প্রতিটি প্রবেশ পথে৷ পুরো ময়দান থাকবে সিসি ক্যামেরার আওতায়৷ আকাশে নজরদারি করবে শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা। জামাতে অংশ নেয়া কোনো মুসল্লি ঈদগাহে ছাতা, ব্যাগ ও মোটা জায়নামাজ নিয়ে ঢুকতে পারবেন না।
গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ঈদগাহের মাঝখানে একটি উঁচু ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠে কাতারে নামাজের জন্য দাগ কাটা হয়েছে, বানানো হয়েছে পর্যাপ্ত অজুখানা। মাঠের মিনারে আলোকসজ্জা ও মাঠ সংলগ্ন রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিদের আগমনের সুবিধার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঈদের দিন ‘শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল’ নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। এরমধ্যে একটি ট্রেন ভৈরব থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে সকাল ৮টায় পৌঁছাবে এবং অপর ট্রেনটি ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়।
উল্লেখ্য, শোলাকিয়ার ঐতিহ্য অনুসারে ঈদের নামাজ শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি ও ১ মিনিট আগে ১টি শর্টগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত আরম্ভের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বছর সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিতব্য ১৯২তম ঈদুল ফিতরের জামাতে ইমামতি করবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেম, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদউদ্দীন মাসউদ।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড