শেখ সফিকুল ইসলাম সফিক, বানিয়াচং, হবিগঞ্জ
খুচরা ধাতব মুদ্রা এক ও দুই টাকার কয়েন সারা দেশে বাজারে প্রচলিত থাকলেও হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। এ উপজেলায় এক ও দুই টাকার কয়েন ধীরে ধীরে অচল ও অকেজো হয়ে পড়ছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হাতে বিপুল পরিমাণ ধাতব মুদ্রা অলস পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষও এসব মুদ্রা জমা নিচ্ছে না। এমনকি ভিক্ষুকরাও এসব নিচ্ছেন না। আর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছেন মুদ্রা কখনো অচল হতে পারে না। তবে বানিয়াচং সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা এক ও দুই টাকার কয়েন গ্রহণ করছেন না বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জানা যায়, প্রাচীনকাল থেকেই একটি প্রথা রয়েছে- মাটির ব্যাংকে কয়েন সংরক্ষণ। এখন আর আগের মতো ঘরে ঘরে মাটির ব্যাংকে কয়েন সংরক্ষণ করা না হলেও গরিব ও দিনমজুররা এ প্রথাটি চালু রেখেছেন। আর যারাই ভবিষ্যত চিন্তায় টাকাগুলো জমিয়েছেন, এক ও দুই টাকার কয়েন অচল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
এ দিকে বানিয়াচংয়ে বাজারগুলোর ব্যবসায়ীরা এক ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে গ্রাহকদের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হচ্ছেন। কোনো কোনো ব্যবসায়ী সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে মারমুখি আচরণ করছেন।
ব্যবসায়ী সুমন মিয়া জানান, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কয়েন জমা নিতে নারাজ, তাই তার দোকানে কয়েক হাজার কয়েন অলস হয়ে পড়ে আছে।
ব্যবসায়ী কাদির মিয়া জানান, প্রায় দুই বছর ধরে বানিয়াচংয়ে এক ও দুই টাকার কয়েন অচল হয়ে পড়েছে।
সাধারণ ক্রেতা ছবিল মিয়া জানান, তার বাড়িতে কষ্ট করে জমানো কয়েক হাজার কয়েন রয়েছে। এগুলো দিয়ে বাজারে সওদা করতে গেলে ব্যবসায়ীরা নেন না। আবার ব্যাংক কর্তৃপক্ষও এগুলো জমা নিচ্ছেন না। এমনকি ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিলে তারাও কয়েন নেয় না।
জানতে চাইলে, বানিয়াচং সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, তার ব্যাংকে কয়েন বর্তমানে জমা নেওয়া হয় না। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণ মুদ্রা জমা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সে পরিমাণ মুদ্রা তার ব্যাংকে জমা আছে।
বানিয়াচং পূবালী ব্যাংক ম্যানেজার অসীম কুমারজানান, তার ব্যাংকে ৮০ হাজার টাকার কয়েন মুদ্রা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী এক ও দুই টাকার কয়েন অচল নয়। যে কোনো ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ওই সব কয়েন দিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড