শাহ্ মুহাম্মদ রুবেল, কক্সবাজার প্রতিনিধি
ঈদের ছুটিতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত সমুদ্রশহর কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউজ। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পর্যটক আগমন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আর পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
টানা এক মাসের রমজানে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার পর্যটক শূন্য থাকলেও ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নামে এই সৈকতে। এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস ও কটেজের প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকড হয়ে গেছে বলে দাবি হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস ও কটেজ মালিকদের। আর ব্যবসায়ীরাও নতুন সাজে সাজিয়েছেন তাদের প্রতিষ্ঠান।
দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে এখানে ভিড় করে লাখো পর্যটক। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। এবারের ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় চার লাখের বেশি পর্যটক সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ রয়েছে প্রায় পাঁচশ। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এসব হোটেল মোটেলগুলো দিচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা।
কক্সবাজার হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের মুখপাত্র মো. সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ভরা মৌসুমে সাগর থাকে প্রচণ্ড উত্তাল থাকে। এ ক্ষেত্রে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সমুদ্রে স্নান ও নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি লাইফগার্ড ও ট্যুরিস্ট পুলিশদের তৎপরতা বৃদ্ধি করলে যারা কক্সবাজারে আসবেন তারা নির্বিঘ্নে এখান থেকে ফিরতে পারবেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারে সে জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি তিনটি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষিত কর্মী ও সৈকতকর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড