বরগুনা প্রতিনিধি
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ঈদের আনন্দ বইতে শুরু করেছে শহর কিংবা গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দূরপাল্লা থেকে নাড়ির টানে ছুটে আসছে মায়ের কোলে। নাড়ির টানে ছুটে আসতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দুইটি পথ রয়েছে। যার একটি নদীপথ ও অন্যটি সড়ক পথ।
সময়সীমা শেষের দিকে, তবু শেষ হয়নি বরগুনা বামনা-খোলপটুয়া আট কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ। এ অবস্থায় সড়কটি বরগুনার বামনাবাসী ও নাড়ির টানে ছুটে আসা মানুষের জন্য ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বামনা উপজেলা থেকে বরগুনা জেলা সদর পাথরঘাটা পর্যন্ত এবং গোলচত্বর থেকে খোলপটুয়া হয়ে রামনা ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রাম পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে ‘বেড’ কেটে রাখা হয়েছে। উপজেলা থেকে থেকে ভান্ডারিয়া ঝালকাঠি বরিশাল যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক বালু দিয়ে বেডগুলো ভরাট করছেন। এছাড়াও বামনা বাজারের পয়নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ করে ফেলে রাখা হয়েছে।
বাজারের হোটেল মালিক জাফর বলেন, খুব দ্রুত সংস্কারের কাজটি না হলে বৃষ্টির মৌসুমে বাজারে ব্যবসা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। সামান্য বৃষ্টিতেই বাজারে পানি জমে যায়। ধুলাবালির কারণে অনেক মানসম্মত খাবার রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. বাদশা মিয়া ওরফে বাবুল অভিযোগ করে বলেন, কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে সড়কটি ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট করা সম্ভব হচ্ছে না। ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করা হলেও তারা বাধা দেয়। ফলে ড্রেন নির্মাণের কাজও শেষ করা যায়নি। এছাড়া সড়কটির দুই পাশে বন বিভাগের বড় বড় গাছ আছে, বন বিভাগ গাছগুলো অপসারণ না করায় সড়কটির সংস্কারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা ফিরোজ কবীর দাবি করেন, ‘সড়কের দুই পাশের সব গাছের দরপত্র প্রক্রিয়া অনেক দিন আগেই শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে গাছগুলো ঠিকাদার কেটে নিয়ে গেছেন বলে তিনি অবহিত করেন।
উল্লেখ, গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মহাসড়কটির সংস্কাকারকাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ৭ জুন সংস্কারকাজ শেষ হবার কথা রয়েছে।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড