সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে সরকারি নিয়ম-নীতি অমান্য করে ড্রেজার ও বোমা মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে শাহজাহান গ্রুপের লোকেরা। ঈদকে সামনে রেখে তার সংঘবদ্ধ চক্রের লোকেরা কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এমন কাজ চালাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে- শ্রমিক অথবা ছোট সেলো মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা যাবে। এই নীতিমালার কোনো তোয়াক্কা না করে অধিক লাভের আশায় ড্রেজার ও বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে সিন্ডিকেটের লোকেরা। তাছাড়া নদীর ভেতরে গভীর খাদ তৈরি করার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসত-বাড়ি হুমকির মুখে রযেছে।
এই অবৈধ বালু উত্তোলন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে বালু ব্যবসায়ী শাহজাহানের গভীর সখ্যতা রয়েছে । সরকারি কর্মকর্তার ব্যক্তিগত লাভের ফলে ভিট-বাড়ি হারাতে বসেছে শতশত লোক। তাই শাহজাহানের এমন কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সৃদুষ্টি কামনা করছেন লাউড়েরগড়বাসী।
তবে স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু অভিযান পরিচালনার আগেই বালু ও পাথর উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়।
প্রশাসনের এই বক্তব্য মানতে নারাজ স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সিন্ডিকেটের যোগাযোগ রয়েছে। ফলে অভিযানের খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, যাদুকাটা নদীতে প্রতিদিনই দেড়শ থেকে ২শ বোমা ও ড্রেজার দিয়ে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন চলছে। এসব বোমা মেশিন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। পাথর উত্তোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে লোক দেখানো অভিযান চালানো হয় বলে তারা জানান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তাহিরপুর উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার(এ্যাসিল্যান্ড) মনতাসির হাসান বলেন, আমরা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি। তবে এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। হয়তো অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীর তীরবর্তী ফাজিলপুর এলাকার আনোায়ারপুর ব্রিজ পর্যন্ত নদীপথে একটি চাদাঁবাজ চক্র সরকারের নির্ধারিত টোল আদায়ের পরিবর্তে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছে। ফলে নৌকার মালিক ও মাঝিরা এই চাদাবাজঁচক্রের জুলমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
জানা যায়, নৌকার মাঝিদের অভিযোগ এই চক্র প্রতিটি বলগেট (নৌকা) থেকে সরকারের নির্ধারিত হারে ঢোল আদায়ের পরিবর্তে এই নদীতে ব্যাপক চাদাঁবাজি করছেন। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২ শতাধিক নৌকা বালু ও পাথর বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে।
প্রশাসন থেকে ৪৮ লাখ টাকায় এই ফাজিলুর ঘাটটি এক বছরের জন্য ইজারা নেন ফাজিলুপুর গ্রামের মুর্তুজ আলীর ছেলে মো. কাশেম মিয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই ঘাটে সরকারের নির্ধারিত টোল আদায়ে প্রতি বলগেট থেকে ৫০ থেকে ৮০ টাকা মধ্যে টোল আদায়ের শর্ত থাকলেও ফাজিলুপুর হতে আনোয়ারপুর পর্যন্ত এই এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইজারদার মো. কাশেম মিয়ার লোকজন বলগেটগুলো আটকিয়ে তিন হাজার টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে তাহিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আসিম ইমতিয়াজের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড