গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার কৃষক আকতার মোল্লা (৬৫)। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পাচুড়িয়ায় খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে যান তিনি। এদিন দুপুর পর্যন্ত কৃষি কার্ড জমা দিতে পারেননি তিনি। তার মতো কৃষি কার্ড নিয়ে নিজড়া থেকে এসেছেন আরও ২৫ জন কৃষক। তবে কেউই ধান বিক্রি করতে পারেননি।
এ অবস্থায় জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কৃষকরা উৎপাদিত ধান নিয়ে খাদ্য গুদামে এসে বিক্রি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। উল্টো দ্বিগুণ খরচে ধান বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এ দিকে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গুদাম থেকে সরে পড়েন। জানা যায়, উপজেলায় কৃষক সংখ্যা ও উৎপাদিত ধানের তুলনায় সরকারের ধান সংগ্রহের পরিমাণ অনেক কম হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বিশ্বাস জানান, উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়েছে। তবে সরকার কিনছে মাত্র ৬শ ১৭ মেট্রিক টন ধান।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, উপজেলায় প্রায় ৪৫ হাজার কৃষিকার্ডধারী কৃষক রয়েছেন। এর বিপরীতে মাত্র ৬১৭ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ঠিক হয়নি।
সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কৃষকরা বিক্রির জন্য ধান খাদ্য গুদামে এনে বিপাকে পড়লে আমাদের করার কিছুই নাই। সরকারের নির্ধারিত পরিমাণের বাইরে ধান ক্রয়ের কোনো সুযোগ নাই।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড