সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাধারণ পরীক্ষার্থীবৃন্দ, সাতক্ষীরার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনিরুদ্ধ স্বর্ণকারের সভাপতিত্বে ও মঙ্গল কুমারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পি, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার সভাপতি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ, সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২৪ মে সাতক্ষীরার সদর, আশাশুনি ও শ্যামনগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি প্রার্থীরা অংশ নেন। কিন্তু উক্ত পরীক্ষা শুরুর পূর্বে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা থেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর যৌথ অভিযানে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে একটি চক্রকে আটক করা হয়। যাদের ২১ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডিত অপরাধী চক্রটিকে যখন পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে আটক করা হয় তখন তারা কলারোয়ার একটি ভবনে চাকরি প্রার্থী পরীক্ষার্থীদের ফাঁস করা প্রশ্ন ব্লাক বোর্ডে লিখে সে সবের উত্তর শেখাচ্ছিল। পরে পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
সরকারি সংস্থাগুলোই যেখানে পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নসহ একটি চক্রকে আটক করেছে এবং পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে তার হুবহু মিল পেয়েছে সেখানে সেই প্রশ্নে গ্রহণ করা, পরীক্ষা বাতিল করা না হলে হাজার হাজার চাকরি প্রার্থী মেধাবী তরুণ-তরুণীর সাথে প্রতারণা করা হবে বলে আমরা মনে করি। যেহেতু প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তাই ধারণা করা যেতে পারে আরও বহুজন এরকমভাবে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে, সাধারণ মেধাবী চাকরি প্রার্থীরা কীভাবে পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্ন পাওয়াদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকবেন?
বক্তারা আরও বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পাবনা এবং লহ্মীপুর জেলায়ও কয়েকজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম সরকারেরই বিভিন্ন সংস্থা যেহেতু প্রমাণ পেয়েছে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে সুতরাং, এই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে গ্রহণ করা পরীক্ষা অবিলম্বে বাতিল করে পুণরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে এ ধরনের কোনো ঘোষণা না হওয়ায় আমরা হতাশ।
বক্তারা অবিলম্বে ২৪ মে তারিখে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করে নতুন প্রশ্নে পুণরায় পরীক্ষা গ্রহণ এবং অধিকতর তদন্ত করে এই প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
পরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড