গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে বেড়েছে ডায়রিয়া প্রকোপ। এ রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অনবরত রোগী আসছে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকাল পর্যন্ত ২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। ১৯ জন রোগী বাড়ি চলে গিয়েছেন। যারা বাড়ি চলে গিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়নি। বর্তমানে ওআরটি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ২৫ জন বলে জানান, হাসপাতালের ওআরটি বিভাগের নার্স সাদিয়া।
গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আনিসুর রহমান ভুইঞা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে কমপক্ষে এক হাজার রোগী এসেছে চিকিৎসার জন্য।
সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকে বেড না পেয়ে মেঝেতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে ওআরটি বিভাগের বাইরে খোলা জায়গায় রাত্রী যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেক রোগী অসহনীয় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দেখেও বাধ্য হয়ে ক্লিনিকগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খোলা জায়গায় থাকা রোগীদের সরিয়ে অন্যত্র নিতে সক্ষম হয়নি গত ২ সপ্তাহেও। তাদের জন্য তাবুর ব্যবস্থা করাও সম্ভব হয়নি। মাঝে একদিনের জন্য ত্রিপল টানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করতে দেখা গেছে। তবে সামান্য ঝড়ো হাওয়ায় তা বিনষ্ট হওয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা। চিকিৎসাধীন রোগীদের ঔষুধ সরবরাহ সঠিকভাবে হচ্ছে না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ দিকে হাসপাতালের আরএমও ডা.ফারুক আহমেদকে কোথাও পাওয়া যায়নি। তিনি প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন বলে জানা গেছে। আরেক জন আরএমও ডা. নাজমুল হক লষ্কর স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, সাম্ভাব্য সকল চেষ্টা করেও পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব হয়নি।
এ দিকে ডায়রিয়া রোগের বিস্তার লাভের কারণ, নির্ণয় ও প্রতিকার নিয়ে আলাপ করা হলেও বেশিরভাগ চিকিৎসক বলেছেন প্রচণ্ড দাবদাহ, গ্রামাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির অভাব, খোলা জায়গার খাবার খাওয়া প্রভৃতি কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড