এস এম আমীর হামজা, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে কৃষকের মাঝে নেই ঈদ আনন্দ। ধানের মূল্য কম হওয়ায় উপজেলার কৃষক পরিবারের ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। ঈদ দুয়ারে কড়া নাড়লেও ঈদের আনন্দ যেন তাদের কাছে বিষাদে রূপ নিয়েছে।
এ দিকে কৃষক পরিবারে ঈদ না থাকার চাপ পড়েছে ঈদ বাজারেও। ক্রেতা শূন্য ঈদ বাজারে মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদেরও। বিভিন্ন ধরনের জিনিস আর বাহারি সব কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার দেখা মিলছে না।
নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা শূন্য বিতানগুলো। ক্রেতার দেখা না মিলায় বসে রয়েছে কর্মচারীরা। শুধু কৃষক পরিবারই নয়, ভালো বেচা-বিক্রি না হওয়ায় ঈদ নিয়ে বিষাদে পুড়ছেন ব্যবসায়ীরাও। কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে ঈদে জমজমাট বিকি-কিনি হলেও এ বছরের দৃশ্য অন্যরকম। ঈদের বর্ণিল সাজে দোকানগুলো সাজলেও ক্রেতা কম। কারণ একটাই ধানের মূল্য কম।
নবীগঞ্জ শহরের মধ্য বাজার এলাকার ‘রিয়াদ এক্সক্লুসিভ ফ্যাশন’র সত্ত্বাধিকারী মঈনুল হক জানান, ঈদ উপলক্ষে ভালো বিক্রির আশায় অনেক কাপড় দোকানে তুলেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিন ভাগের এক ভাগও বিক্রি করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘লাভ তো দূরের কথা, কর্মচারীদের বেতন-বোনাস কি করে দেব তা বুঝে উঠতে পারছি না। এ অবস্থা আমাদের বিশাল লোকসান গুণতে হবে।’
শেরপুর রোডের সেন্ট্রাল প্লাজার ‘গোল্ডেন ফ্যাশন’র সত্ত্বাধিকারী তৌফিক ইসলাম জানান, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক কম বিকি-কিনি হচ্ছে। কাপড় ব্যবসায়ীরা আশায় থাকেন ঈদে ভালো বিক্রি করার। কিন্তু এই ঈদ যেন কাপড় ব্যবসায়ীদের জন্য হতাশা নিয়ে এসেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার বাউশা গ্রামের আজাদ মিয়া জানান, এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল। ভেবেছিলাম ঈদে ছেলে মেয়েদের ভালো কাপড়-চোপড় কিনে দেব। কিন্তু আমাদের সেই আনন্দ মলিন করে দিয়েছে ধানের কম দাম।’
তিনি বলেন, ভালো কাপড় কেনাতো দূরের কথা পুরাতন কাপড়ও ছেলে মেয়েদের দিতে পারব কি না জানি না।’
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড