সারাদেশ ডেস্ক
অবৈধ পথে ইতালি পাড়ি দিতে গিয়ে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রাণ যায় ফেঞ্চুগঞ্জের আহমদ, লিটন ও আজিজসহ দেশের অন্তত ৩৯ জনের। এ থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া যুবকরা এখন দেশে ফিরতে শুরু করেছেন।
রবিবার (২৬ মে) দুপুরে দেশে ফেরা বিলাল আহমদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, নিজে বেঁচে ফিরলেও চোখের সামনে আপন ভাগ্নে আহমদ হোসেন, দুই ভাতিজা আব্দুল আজিজ ও লিটন আহমেদ সাগরে ডুবে মারা যান। তাদের চোখের সামনে ডুবে যেতে দেখেছি। ১১ ঘণ্টা সাগরের পানিতে ভেসে থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বিলাল।
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি থেকে বেঁচে ফেরার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন বিলাল আহমদ (৩২)। তিনি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মউদপুর গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর ছেলে।
তিনি আরও বলেন, ‘লিবিয়ায় জিম্মি করে কয়েক মাস চলে নির্যাতন। পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় দেশে ফিরে আসার পথও। অবশেষে প্রতিজনের পরিবারের কাছ থেকে চুক্তির ৮ লাখ টাকা আদায়ের পর আরও কয়েক লাখ টাকা আদায় করে ইতালির উদ্দেশ্যে তাদের তুলে দেয়া হয় রাবারের নৌকায়। অল্পদূরে গিয়েই ডুবে যায় তাদের বহনকারী নৌকাটি।
বিলাল কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, লিবিয়ায় আরও অন্তত ২শ বাংলাদেশি তরুণকে এই পথে ইতালি পাঠাতে জড়ো করে রেখেছে পাচারকারী চক্র। অতিরিক্ত টাকার জন্য চালাচ্ছে নির্যাতন। তারা ইতালিতে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে লিবিয়ার দালালদের কাছে তাদের বিক্রি করছে।’
এ ঘটনায় জড়িত ফেঞ্চুগঞ্জের এনামুল হকসহ পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
উল্লেখ্য, লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার পথে ১০ মে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড