বরিশাল প্রতিনিধি
ঈদকে সামনে রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তৈরি নতুন পোশাক সরবরাহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে বরিশালের দর্জিপাড়ার দর্জিরা। ঈদের আগেই সব কাজ সময় মতো বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পোশাকের কারিগররা অতিরিক্ত লোক নিয়ে কাজ চালাচ্ছেন।
আজ ২০ রোজার পর আর কোনো অর্ডার নেওয়া হবে না বলে জানান দর্জিরা। তবে এখন প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে ২৪ ঘণ্টাই চলছে সেলাইয়ের কাজ।
বরিশাল নগরীর বটতলা বাজার সংলগ্ন বিএম কলেজ, চৌমাথা, কাউনিয়া, সাগরদী মার্কেট, বাংলা বাজার পুলিশ লাইন, হাসপাতাল রোড, কাটপট্টি রোড,কালি বাড়ি রোড, বগুড়া রোড, পলাশপুরসহ অনেক জায়গা ঘুরে দেখা গেছে টেইলার্সগুলোতে কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
দর্জিপাড়া ঘুরে দেখা গেল, নারী-পুরুষ উভয়ের পোশাক তৈরির অর্ডার আসলেও মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পোশাকের অর্ডারই বেশি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ও মার্কেটে ২৫০টির মতো দর্জির দোকানের কারিগররা ক্রেতাদের পোশাক প্রস্তুত করার জন্য খাটছেন দিনরাত। কেউ কাপড়ের মাপ নিচ্ছেন, কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ আবার সেলাই করছেন। আবার কেউ ইস্ত্রি করছেন, কেউ চেক করছেন। আবার কেউ অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা-কাপড় সাজিয়ে রাখছেন।
নগরীর কেডিসি পদ্মা ডিপু এলাকার বাসিন্দা শারমিন জাহান লিজা বলেন, ‘ঈদে তো নতুন পোশাক সবাই চায়। আর রেডিমেড দোকানে একই নকশার অনেক পোশাক থাকে। তাই নিজের পছন্দ মতো কাপড় কিনে পোশাক বানাতে দিয়েছি দর্জির দোকানে’।
পুলিশ লাইন এলাকার দর্জির দোকানে আসা কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা মুন্নি আক্তার নামের এক ক্রেতা জানান, ঈদকে সামনে রেখে থ্রি পিস বানাতে দর্জির দোকানে আসা। কারণ দর্জির দোকান থেকে বানিয়ে নেওয়া পোশাকের ফিটিং ভালো হয় এবং কোনো সমস্যা হলে তা আবার ঠিক করা যায়।
ঈদকে সামনে রেখে কাপড় কিনতে আসা গৃহবধূ নাহার বেগম বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদে আমি কাপড় কিনে জামা বানাই। কিন্তু এ বছর কাপড়ের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। আবার দর্জিরাও গত বছরের তুলনায় মজুরি একটু বেশি চাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য একটু ঝামেলাই বটে!’
তবে পোশাকের কারিগররা বলছেন ঈদকে সামনে রেখে এ বছর অনেক বেশি অর্ডার আসছে। অর্ডার প্রতি তারা ২৫০-৩৫০ টাকা করে মজুরি নিচ্ছেন। এই অর্ডার সময় মতো দিতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে দিন রাত বিরতিহীনভাবে কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে।
নগরীর কাট পট্টি মার্কেটে কয়েকটি টেইলার্সে আলাপকালে দর্জি জসিম, সুমন, শাওন, হেলালসহ আরও অনেকে জানান, দর্জির দোকানে পুরুষের চেয়ে মহিলারাই বেশি আসছেন।
অন্যদিকে বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা বাজারেও শেষ সময় ব্যস্ততায় পার করছেন দর্জি কারিগররা।
কাউনিয়া এলাকার মায়ের দোয়া টেইলার্সের মালিক জসিম হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাকে বৈচিত্র্য বেশি। ঈদের আগে আমিসহ আর একজন কাজ করতাম। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে এবার দোকানে মোট ৫ জনকে কাজ করতে হচ্ছে। শার্ট, প্যান্ট, থ্রি পিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে পাঞ্জাবি। সময় মতো কাজ শেষ করে কাস্টমারকে দিতে পারলেই আমরাও খুশি এবং তারাও খুশি।
দর্জিবাড়ি ঘুরে জানা গেল এ বছর তরুণীদের পছন্দ লং কামিজ। এছাড়া হিন্দি সিরিয়ালের অনুকরণে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের চল এবারও রয়েছে।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড