কলমাকান্দা প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় সরকারিভাবে এখনো ধান ক্রয় শুরু হয়নি। যার ফলে প্রান্তিক কৃষকরা হাট-বাজারের ফরিয়া ও দালালদের কাছে কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে প্রতি মণ ধানে কৃষকদের লোকসান দিতে হচ্ছে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
সরকারিভাবে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে গত ২৫ এপ্রিল থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস অজ্ঞাত কারণে ধান ক্রয় শুরু করেননি। এতে হতাশ কৃষকরা।
এ দিকে কলমাকান্দা উপজেলায় চাষিরা ধান কাটা শুরু করেছেন প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে। হাট-বাজারে ধানের আমদানি প্রচুর হলেও ক্রেতার অভাবে তারা কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ফারুক আহমেদ বলেন, কলমাকান্দায় বোরো মৌসুমে ৮৩ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খাদ্য গুদামে এবার ২৬ টাকা কেজি দরে ৬১৩ মেট্রিকটন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত প্রান্তিক কৃষকদের চূড়ান্ত তালিকা হাতে পায়নি। তালিকা পাওয়ার পরই সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু করব।
অপরদিকে উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি অনুমোদিত ১৯টি চালকলের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৭৩ টন সিদ্ধ চাল ও ৭৮৭ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষে বোরো সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা ও আতপ চাল ৩৫ টাকা দরে ক্রয় করা হবে।
তবে বেশির ভাগ চাতালকল মালিকদের সরাসরি প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল তৈরি করে খাদ্য গুদামে দেওয়া দৃশ্যমান হয়নি। যার ফলে স্থানীয় বাজারে কৃষকরা কম মূল্যে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড