ঝালকাঠি প্রতিনিধি
সেতু ভেঙে মাঝ বরাবর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে সেতুতে চলে না বড় কোনো যানবাহন। দুই বছর ধরে চলছে এমন পরিস্থিতি। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে সেতুটি সংস্কার বা পুননির্মাণে স্থানীয় সাংসদের আশ্বাসের পরও দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে আছে সেতুর ভাগ্য। নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুশংঙ্গল ইউনিয়নের মানপাশা বাজারের পাশের সড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রয়েছে সেতুটি। এই সেতু দিয়ে নলছিটি থেকে মোল্লার হাটের খেঁজুরতলা হয়ে বরগুনা যাতায়াত করা হয়। এছাড়া নলছিটি-বরিশাল, নিয়ামতি, নাচনমহল, সুবিদপুর, রানাপাশা, বাকেরগঞ্জে সড়ক পথে যাতায়াতের জন্য এ সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও নলছিটি উপজেলার কুশংঙ্গল ইউনিয়নের মানপাশা বাজারে ছোট বড় প্রায় সাড়ে ৩ শ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব দোকানের মালামাল আনায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে সেতুটি নির্মাণের পর আজ পর্যন্ত এটি সংস্কার বা পুননির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
কুশংঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সিকদার বলেন, ‘আমাদের এমপি আমির হোসেন আমু সেতুটি দ্রুত নির্মানে এলজিইডি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে দীর্ঘ দিন হয়ে গেলেও এ নির্দেশনা কার্যকর হচ্ছে না। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সেতুটির বেহাল দশা দীর্ঘ দিন ধরে। এটি নির্মাণের জন্য ঝালকাঠি এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি একটি বাইপাশ সড়ক নির্মাণের পরামর্শ দেন। তারপর ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যায়ে তা নির্মাণ করেছি।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘সেতুটির বেহাল দশা এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। জাইকা প্রকল্পে সেতুটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কনসালটেন্টকে এর ডিজাইন নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিজাইনের পর বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।’
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড