পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন উপজেলায় দেখা দিয়েছে মরিচের পচন রোগ (এ্যানথ্রাক্সনস)। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। মরিচ তোলার মৌসুমে রোগ দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জমি থেকে মরিচ উত্তোলন করে মরিচ শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে কৃষকরা জানান, আমরা প্রতিবছর মরিচের ভাল ফলনে বড় অংকের অর্থ পেতাম। কিন্তু এ বছর প্রথমে মরিচের ভাল ফলন হলেও হঠাৎ করে মরিচ ক্ষেতে নানা রকম পোকার আক্রমণ বেড়েছে। মরিচ তোলার সময় টেপা পচা (এ্যানথ্রাক্সনস) রোগে আক্রান্ত হয়ে মরিচ গাছেই মরিচ পচে শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট এলাকার কৃষক সুরুজ মিঞা দৈনিক অধিকারকে বলেন, গত কয়েকদিন বৃষ্টিপাতে মরিচ ক্ষেতে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো লাভ হয়নি। আমাদের উৎপাদন খরচ যা হয়েছে তার অর্ধেকেও পাচ্ছি না এবার।
মরিচের পচন রোগে ভালো দাম না পাওয়ায় সদর উপজেলার গোয়ালঝার এলাকার কৃষক বসির আলম বলেন, এবার দেড় বিঘা জমিতে মরিচের আবাদ করি। কিন্তু পোকার আক্রমণে পুরো ক্ষেতে মরিচে পচন ধরেছে। পচে শুকিয়ে পড়ে যাচ্ছে। কাঁচা মরিচ পচে যাওয়ার ভয়ে বাজার নিয়ে গেলে ২০-২৫ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারছি না। এ বছর অনেক লোকসান হচ্ছে আমাদের।
পঞ্চগড়ে শুকনো মরিচ আড়ৎদার মনজু হোসেন জানান, এ বছর তেমন ভাল মানের মরিচ পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি তা নিম্ন মানের। কাজেই মরিচের ওপর দাম নির্ভর করে কিনতে হচ্ছে।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছরে জেলায় ১০ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে বাঁশগাইয়া, বিন্দু, গট মাস্টারসহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ হয়েছে। গেল বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজার হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক আব্দুল মতিন দৈনিক অধিকারকে বলেন, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে মরিচে (এ্যানথ্রাক্সনস) টেপা পচা রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড