তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আমের রাজধানী হিসেবে ক্ষ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। জেলার ভোলাহাট ও শিবগঞ্জে আম বেশি উৎপাদন হলেও সদর উপজেলা, নাচোল ও গোমস্তাপুরে ধান বেশি আবাদ হয়।
ফলে ধান উৎপাদিত উপজেলাগুলোতে চলছে বোরো ধান কাটাই ও মাড়াইয়ের কাজ। ফলন ভালো হলেও ধানের নায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
এই অবস্থায় ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন দেশের কিছু ব্যবসায়ী। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে দেশের কৃষকদের। আমদানিকারক ও ভারতের কৃষকরা লাভবান হলেও ক্ষতিস্ত হচ্ছে দেশের কৃষক পরিবারগুলো।
বর্তমান মৌসুমে দেশে ধানের প্রচুর উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও দেশে যখন বিদেশ থেকে ট্রাকে ট্রাকে ঢুকছে চাল ঠিক তখনই এক শ্রেণির মিল-মালিকদের যোগসাজশে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ধান।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক তাসনিম এন্টার প্রাাইজের সত্ত্বাধিকারী বাবুল জানান, আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি করছি। দেশের বাজারে আমদানি করা চালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন জাতের চালে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘আমরা মূলত ভারত থেকে ৩৯০ থেকে ৪শ’ ডলার দিয়ে চাল আমদানি করে থাকি। আগের এলসি করা চালেও গত ২২ তারিখের পরে নতুন করে সরকারের আরোপ করা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। যার কারণে আমাদেরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
সাহাপাড়ার প্রান্তিক কৃষক সাইফুদ্দিন জানান, দেশে ধান যে পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে তা দিয়ে দেশের চাহিদা মিটানো সম্ভব ছিল। সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি করানোই আমরা ধানের দাম কম পাচ্ছি। সরকারের কাছে অনুরোধ চাল আমদানি বন্ধ করে দেশের কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে তা বিদেশে রপ্তানি করলে আমরা ধানের নায্য মূল্য পাব।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সহকারী কাস্টমস কমিশনার বিল্লাল হোসেন জানান, চলতি মাসে সোনামসজিদ বন্ধর দিয়ে প্রায় ১২শ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। সবশেষ বুধবার (২২ মে) চাল আমদানি হয় ১১ ট্রাকে ২৪২ মেট্রিক টন চাল।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড