পিরোজপুর প্রতিনিধি
সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ২০ মে সোমবার থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর আগামী ৬৫ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। তবে পিরোজপুর জেলার জেলেদের নিয়ে পরিকল্পিত পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে মৎসজীবীদের মাঝে।
উপার্জনহীন মৎসজীবীরা মনে করছেন দীর্ঘ বিরতিতে দেখা দেবে বিপর্যয়। রোজগার না থাকায় অনেকেই জড়িয়ে পরবেন অপকর্মে। চড়া সুধে এনজিও ও ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের বোঝা হবে ভারী। প্রত্যাহিক জীবনে দেখা দেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতা। তাদের মধ্যে অনেকে নিশ্চিত করে জানেন না প্রায় আড়াই মাস জাল আর নৌকা থেকে থাকতে হবে দূরে। যারা জানেন তারা প্রত্যাহিক জীবন নিয়ে পরেছেন শঙ্কায়।
আড়ৎদার ও জেলেরা জানান, সরকারের পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ না থাকায় উপার্জনহীন হয়ে পড়ছেন কয়েকশো জেলে। অনেকেই ধারণা করছেন সুধের ও দাদনের টাকার বোঝা আর বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে জেলেরা জড়িয়ে পড়তে পারে অপরাধ জগতে। ঈদ আনন্দ তো বহুদূর ক্ষুধা নিবারণের উপায় খুঁজে পাচ্ছে না অনেকেই। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মৎসজীবীদের মাঝে। সরকারের কাছেও বিভিন্ন দাবি তুলছেন তারা।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মৎস্য আহরণ শুরু হলে লাভবান হবে মৎসজীবীরাই। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সরকারের ভিজিএফ দেয়ার পরিকল্পনা আছে।
মৎস্যজীবীরা মনে করছেন সমুদ্রে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ঢুকে তাদের মৎস্যসম্পদ আহরণ করে নিয়ে যেতে পারে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড