চুয়াডাঙ্গায় পৃথক ঘটনায় নিহত ৩

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ঘটনায় নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২২ মে) দুপুর থেকে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পপি খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলা নতিপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পপি খাতুন সদর উপজেলার টেইপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে পপি খাতুনের বসতঘরের ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে দামুড়হুদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে পপি খাতুনকে দীর্ঘদিন থেকেই নির্যাতন করে আসছিল স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারাই পপিকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যাবে এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা।

এ দিকে, মাথাভাঙ্গা নদীতে ডুবে মিসরি খাতুন নামে এক প্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকালে দামুড়হুদা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিসরি খাতুন একই গ্রামের জেবরা মিয়ার মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় মিসরি খাতুন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিকাল ৩টার দিকে নদী থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আকাশ আলী নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, বাড়ির সিলিং ফ্যানের লাইনের মেরামত করতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আকাশ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।