পরকীয়া প্রেমের জেরে ফাঁসলেন হামদর্দের এমডি

হামদর্দ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইউসূফ হারুন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে নাজিম উদ্দিন রিপন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী নাজিম উদ্দিন রিপন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ও স্থানীয় ব্যবসায়ী। রিপন বলেন, আমার স্ত্রী কামরুন নাহার পলিনের সঙ্গে হামদর্দ ফাউন্ডেশনের এমডি ও জামায়াত নেতা ইউসুফ হারুনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৫ এপ্রিল প্রলোভন দেখিয়ে তিনি আমার স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে যান। তাকে ফিরিয়ে আনতে মুঠোফোনে কল করলে হারুন আমাকে হত্যাসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিয়ের পর থেকে স্ত্রী পলিনকে নিয়ে বাদী রিপন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। পরবর্তীতে হামদর্দ ফাউন্ডেশনের এমডি ইউসুফ হারুনের সঙ্গে স্ত্রী পলিনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি বুঝতে পারেন রিপন। গত ১২ এপ্রিল ওই বাসায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে রিপনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের হাতেনাতে আটক করে। ছাড়া পাওয়ার পর গত ১৫ এপ্রিল প্রলোভন দেখিয়ে পলিনকে ভাগিয়ে নিয়ে যান হারুন। এ সময় দুই লাখ টাকাসহ মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় সে।

তবে এ বিষয়ে হামদর্দের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসূফ হারুন ভূঁইয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আইনজীবী মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী সবুজ বলেন, এ মামলায় কামরুন নাহার পলিনকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়।

জানা গেছে, কামরুন নাহার পলিন হামদর্দ ফাউন্ডেশন পরিচালিত লক্ষ্মীপুর সদরের দত্তপাড়া রৌশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের (ইউনানি) সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। গত ২২ এপ্রিল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি কলেজ থেকে অবসরে যাওয়ার আবেদন করেন।