দিনাজপুর প্রতিনিধি
সঠিক সময়ে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই নদী ভরাট হলে সবার আগে শুরু হয় নদী ভাঙন। এতে বিলীন হয় নদী পারের স্থাপনা। হারিয়ে যায় মানুষের ঘরবাড়ি, ক্ষেতের ফসল ও গাছপালা। আগামী বর্ষা মৌসুম আসতে এখনো একমাস বাকি থাকলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ফের নদী ভাঙনের আশঙ্কা এখন দিনাজপুরের নদী তীরবর্তী মানুষেরা।
দিনাজপুরের জেলার উত্তর-পশ্চিমে বীরগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলার ৬ নম্বর নিজপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়ার পাশ দিয়ে প্রবাহিত ঢেপা নদী। দাসপাড়া এলাকায় প্রায় ৪শ পরিবারের বসবাস। তারা কৃষি কাজ ও মাছ ধরেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
সম্প্রতি বীরগঞ্জ উপজেলার নদীপাড়ের দাসপাড়া পরিদর্শন করে দেখা যায়, নদীর পাড় থেকে কয়েক শ গজ দূরে এনজিও বাংলা ইয়ুথ ফাস্ট কনসান্স, তারপর হরিসভা প্রাঙ্গণ। গত বর্ষা মৌসুমের নদী ভাঙনের কারণে বর্তমানে নদীর তীরবর্তী ঘরগুলোর মধ্যে ফাটল ধরেছে। এ সময় ওই গ্রামের এলাকাবাসীরা নদী ভাঙন রোধে টেকশই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে নদীতে নেমে মানবনন্ধন করেন। পাশাপাশি ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন নিজপাড়া ইউনিয়নের হাজীপাড়া ও বোচাপুকুর গ্রামবাসী।
দাসপাড়া এলাকার হরিসভা কমিটির সভাপতি নরেন দাস বলেন, প্রতি বছর নদী ভরলে পানির স্রোতে কয়েক হাত করে জায়গা নদী গর্ভে চলে যায়। এভাবে নদীর ভাঙার কারণে এই এলাকার ২৫ থেকে ৩০টি পরিবার যাদের বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তারা বর্তমানে অন্য জায়গায় বসবাস করছে।
তিনি আরও বলেন, ২৬ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার আমাদের হরিসভা চলাকালীন আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এই নদী ভাঙন পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়ে গেছেন খুব দ্রুত এখানে বাঁধ নির্মাণ করে দেবেন। নদী সংলগ্ন বাসা কুমত চন্দ্র রায় ও তার স্ত্রী জয়ন্তী রায় জানান, তারা নিজ খরচে কোনো রকমে বস্তা দিয়ে ভাঙন টিকিয়ে রেখেছে। তাদের ঘরে ইতোমধ্যে ফাটল দেখা ধরেছে। এভাবে প্রতি বছর নদী ভাঙতে থাকলে আমাদের মতো এই পাড়ার নদীর পারের বাড়িগুলো ভেঙে গিয়ে এলাকা নদীতে পরিণত হবে। এ ব্যাপারে নিজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, এলাকার বেশ কয়েকটি বসতভিটা বিগত কয়েক বছরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল দাদাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তার সুপারিশে পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে। এ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফইজুর রহমান জানান, এমপি মহোদয়ের সুপারিশে আমরা ওই এলাকাসহ এই ধরনের ২৭টি প্রকল্পের সকল কাগজ সম্পন্ন করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। যত সম্ভব সেখান থেকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে সেই প্রকল্প গেছে। প্রকল্প পাশ হলেই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। নদীর পাড়ে ভাঙন রোধে খুব দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর গভীরতা বাড়ানোর দাবি জানান দাসপাড়া গ্রামবাসী।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড