ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভেজাল সেমাই ও মুড়ি উৎপাদনের দায়ে চার প্রতিষ্ঠানকে আট লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামান ও র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে তিনটি সেমাই কারখানা ও একটি মুড়ি তৈরি কারখানাকে মোট আট লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।
প্রতিষ্ঠানগুলো রানী বাজারের রাজা ফুড পোডাক্ট এর মালিক কামরুজ্জামান রাজাকে তিন লাখ টাকা, ফাইন মুড়ি কারখানার পরিচালক অখিল চন্দ্র দাসকে ৫০ হাজার টাকা, কমলপুর পঞ্চবটি মুন্না সেমাই কারখানার মালিক জুম্মান হোসেন মুন্নাকে চার লাখ টাকা ও জসিম উদ্দিন সেমাই কারখানা মালিক জসিমকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডসহ অস্বাস্থ্যকর মালামাল নষ্ট করা হয়।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামান বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনের দায়ে তাদেরকে অর্থদণ্ড ও ক্ষতিকর মালামাল নষ্ট করা হয়। আমাদের এ অভিযান শুধু রমজান মাসে নয় সারা বছরব্যাপী চলমান থাকবে।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ বলেন, সেমাই কারখানার পরিবেশ তেমন ভাল নয়। শ্রমিকরা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেমাই তৈরি করে না। এমনকি তাদের হাতে ও পায়ে কোনো মোজা নেই। শরীরের গামসহ অস্বাস্থ্যকর ভাবে সেমাই ও মুড়ি উৎপাদন করছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আমরা এ অভিযান সব সময় অব্যাহত রাখব।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন পৌরসভা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নাসিমা বেগমসহ র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড