আনোয়ারা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি। মুদির দোকান থেকে শুরু করে তেলের দোকান, পান দোকান, ঝুপটি চায়ের দোকান এমনকি ওষুধের দোকানেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশসহ জনবহুল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার গুদামজাত করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকার চকবাজারে কেমিক্যাল গুদামে বিস্ফোরণের পর জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকারি নিয়মনীতিকে উপেক্ষা করে অতি লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে যেকোনো সময় এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের বসবাস। একদিকে জ্বালানি কাঠের দাম বৃদ্ধি অপর দিকে বিভিন্ন স্থানে পাকা দালান গড়ে উঠায় সাধারণ মানুষ সিলিন্ডার গ্যাসের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি চায়ের দোকান ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতেও জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে ছোটবড় গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহৃত হচ্ছে।
আনোয়ারা সদর, বটতলী, বারশত, হাইলধর, বৈরাগ, চাতরী চৌমহনী বাজার, পরৈয়কোড়া, বারখাইন, জুইদন্ডী এলাকায় প্রায় ২৫০ শতাধিক দোকানে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারে বিক্রি হচ্ছে। মরিচা ধরা গ্যাস সিলিন্ডারও বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। নিম্নমানের রেগুলেটর, গ্যাস সরবরাহের পাইপ ও নিম্ন মানের চুলাও বাজারে মিলছে।
সরকারি নিয়ম অনুসারে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসসহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দোকান ঘর, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু এসব নিয়মকানুন, লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসা করেছেন ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবসাকে আরও লাভবান হিসেবে ধরে নিয়ে ব্যবসায়ীরা একই দোকানে পাশাপাশি পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন এসব জ্বালানি তেল বিক্রি করছেন।
ফায়ার সার্ভিস দক্ষিণ চট্টগ্রামের দায়িত্বরত কর্মকর্তা প্রণব চৌধুরী জানান, আনোয়ারা উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার জন্য মাত্র ৩-৪ জন অনুমতি নিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনই অভিযান চালাতে পারবে। এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানগুলোতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের লাইসেন্স, ডকুমেন্ট রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এগুলো তদারকির জন্য কর্মকর্তা রয়েছেন।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদ বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য জ্বালানি অধিদপ্তর থেকে অনুমতিপত্র অবশ্যই প্রয়োজন। মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে কিছু দিনের মধ্যে অভিযান চালানো হবে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড