অধিকার ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় পাচার করার জন্য রাজধানীর খিলক্ষেতের ভাড়া বাসা থেকে আটক রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় পাঠানো ২৩ জনের মধ্যে অধিকাংশই কিশোরী।
রবিবার (১২ মে) বিকালে রোহিঙ্গা কিশোরীরা উখিয়া থানায় পৌঁছার পর সন্ধ্যায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের স্ব স্ব ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আবুল খায়ের।
উখিয়া থানার ওসি বলেন, শুক্রবার (১০ মে) ঢাকায় আটক রোহিঙ্গা কিশোরীদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গোপনে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জবানবন্দি দিলে ২৩ জনকে নিজ নিজ ক্যাম্পে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মো. আবুল খায়ের আরও জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকালে আটক ২৩ রোহিঙ্গাকে আদালতের নির্দেশে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রবিবার বিকালে ঢাকা থেকে উখিয়া থানায় পাঠানো হয়। উখিয়া থানার পুলিশ রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের ৭ জন, বালুখালীর ২ জন, থাইংখালী ক্যাম্পের ৪ জন, হাকিমপাড়া ক্যাম্পের ২ জন, ক্যাম্প ১৬’র একজন ও টেকনাফের নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের ৭ জনসহ ২৩ জনকে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে আশ্রয় শিবিরে ফেরা কয়েকজন রোহিঙ্গা কিশোরী জানান, তাদের ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে রোহিঙ্গা স্বামী-স্ত্রী আইয়ুব ও আসমা আক্তার রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যান। ঢাকায় একটি বাড়িতে অবস্থানের সময় পুলিশ তাদের আটক করে। তবে তারা বিদেশ যাওয়ার জন্য অবস্থানের কথা এড়িয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে রোহিঙ্গা কিশোরীদের সঙ্গে আটক রোহিঙ্গা দম্পতি ও তাদের সহযোগী ওয়ালিদ হোসেন কাজল ও দালাল মোশারফ হোসেন সিপনকে আদালতের মাধ্যমে এক দিন করে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত শুক্রবার ভোরে ঢাকা খিলক্ষেতের একটি বাসা থেকে ২৫ রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ২৭ জনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটকের ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, রিমান্ডে নেওয়া রোহিঙ্গা দম্পতি আইয়ুব ও আসমা আক্তার বাংলা জানে। তাদের দিয়ে ২৩ রোহিঙ্গাকে বাংলা ভাষা শেখানো হচ্ছিল। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার সময় যেসব প্রশ্নের জবাব দিতে হয় তা বাংলায় ওইসব রোহিঙ্গাকে শেখানো হয়। আর এই রোহিঙ্গাদের দালাল হিসেবে কাজ করেছে ইব্রাহিম খলিল। তার বাসা রাজধানীর মালিবাগে। কিন্তু ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিমকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মেয়ের জামাতা মোশারফ হোসেন সিপনকে আটক করা হয়। সিপনও রোহিঙ্গাদের দালাল হিসেবে কাজ করে।
খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকার কহিনুর ভিলার ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিল ওয়ালিদ হোসেন কাজল। রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করায় তাকেও আটক করা হয়। তিনি এর আগে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়ায় পাচার করেছে বলে জানিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ৫৬টি পাসপোর্টের মধ্যে দুটি পাসপোর্ট একই নামে। তবে এই ৫৪টি পাসপোর্ট জাল না সঠিক তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড