মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় ফণীর ছোবলে পশুর নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কানাইনগরের ছয় হাজার ফুট দীর্ঘ বেড়িবাঁধটি শনিবার (৪ মে) সকালে আংশিক ভেঙে পড়েছে।
এ ঘটনায় প্রাণহানির ঝুঁকিতে পড়েছেন ওই অঞ্চলের কয়েকশ পরিবার। ইতোমধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী শনিবার ভোরে মোংলা উপজেলায় আঘাত হানে। এ সময় উপজেলার চিলা, কানাইনগর, বৌদ্ধমারী ও জয়মনি এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ঝড়ের আঘাতে ভেঙে যায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা। সকালের দিকে ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙে যায় কানাইনগরের বেড়িবাঁধ।
এ ব্যাপারে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, ‘বাঁধটি আংশিক ভেঙে পড়ার খবর শুনেছি। ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে টিআর কাবিখা দিয়ে মাটির কাজ করে বাঁধটি সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর পানির চাপ, উচ্চতা এবং ঝড়ের প্রভাবে বাঁধটি আর ধরে রাখা যাচ্ছিল না, এটি এখন স্থায়ী করতে পাকা অবকাঠামোর প্রয়োজন। তা না হলে নদীর পানিতে দু একদিনের মধ্যে এ এলাকা প্লাবিত হয়ে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে।’
এ বিষয়ে চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার ইউপি সদস্য মো. সেলিম শেখ জানান, ভেঙে পড়া ঘরবাড়ির বাসিন্দারা রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকায় হতাহতের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩ মে) গভীর রাত থেকে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন সাগর ও সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে দমকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। রাতে বৃষ্টিপাত হলেও শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি ছাড়াই শুধু দমকা হাওয়া বইছে। এদিকে মোংলার সবচেয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কানাইনগর, কাটাখালী, সুন্দরতলা, জয়মনি, চিলা এলাকার বেশ কিছু কাঁচা ঘর বাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে রাত থেকে বন্দর ও পৌর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড