নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় জুমা মসজিদের ইমামকে চাকরি থেকে বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে মুসল্লিরা। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও কয়েকরাউন্ড গুলি করে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে জুমার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, স্থানীয় মুসল্লি আপন(২১) মাহফুজ (২০) মো.আলি ( ৩০)।
জানা গেছে, গত পহেলা বৈশাখের আগের জুমায় খুতবার সময় মসজিদের ইমাম পহেলা বৈশাখ পালন না করার জন্য মুসল্লিদের অনুরোধ করেন। নিজেদের ছেলে-মেয়েদের সম্পর্কে সতর্ক থাকবে বলেন। এতে কয়েকজন মুসল্লি ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিনের কাছে বিচার দেন। পরে ১৯ সদস্যদের কমিটিতে ৬ জন সদস্য জরুরি সভায় সভাপতির আদেশে ইমাম ওমর ফারুককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
প্রতিবাদে শুক্রবার মসল্লিরা জুমার নামাজ পড়তে এসে পেশ ইমামকে না দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মসল্লিদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়। এরমধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে তারা আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানালেও পুলিশ তা অস্বীকার করে।
খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মোস্তফা জাবেদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) শাহজাহান শেখ ও মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসাইন মোল্লা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে অন্য একজন ইমামকে দিয়ে জুমার নামাজ পড়ানো হয়। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় আগামী সাত দিনের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। পুরোনো কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন। বেগমগঞ্জ অতিরিক্ত সার্কেল শাহজাহান শেখ জানান, এ ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড