মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুর জেলে পাড়ায় বিসমিল্লাহ স্টোরে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, নাপা ও স্যাকলোসহ ১৫ ধরনের ট্যাবলেট পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করছে মুদি দোকানি রিপন মিয়া।
আব্দুল্লাহপুর জেলে পাড়া গ্রামের মো. আলী মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে অবৈধ নকল ওষুধের রমরমা ব্যবসা। এছাড়াও আলী মিয়া ও তার ছেলে রিপন মিয়ার মিরকাদিম বাজারে রয়েছে একটি গোডাউন। এভাবে বছরের পর বছর মুদি দোকানে কিভাবে পাইকারি ওষুধ বিক্রি হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিরকাদিম বাজারের বিভিন্ন ওষুধের দোকান ও পাশ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে রিপন এই ওষুধ পাইকারি সরবাহ করে থাকে।
সরেজমিনে আব্দুল্লাপুর জেলে পাড়া বিসমিল্লাহ স্টোরে গিয়ে দেখা যায়, শরীফ নামে একজন ক্রেতার কাছে নাপা, স্যাকলো পাইকারি বিক্রি করছে। এ সময় সংবাদ কর্মীরা তার কাছে ওষুধ বিক্রির বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে মুদি দোকানি রিপন জানায়, ‘আমি চকবাজারে মুদি মালামাল আনতে যাই। আমার কোন লাইসেন্স নেই বিভিন্ন ডাক্তার আমাকে বলে এই ওষুধগুলো এনে দিতে হবে আমি দেই।’
তিনি আরও জানান, ‘দোকানদাররা ঢাকা যেতে সময় পাচ্ছে না তাই আমাকে দিয়ে এই ওষুধ আনায়। এভাবে ওষুধ বিক্রি করা যে অবৈধ তা আমার জানা নেই।’
এর আগে মুদি দোকানির কাছে ক্রেতা সেজে ফোন করলে তিনি বলেন, তার কাছে নাপা, স্যাকলো, অ্যান্টিবায়োটিক, ডাইক্লোফেনাকসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ মজুদ আছে বলে স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে সংবাদ কর্মীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। পরে মিরকাদিম বাজারের তার ওষুধ গুদামে গেলে রিপনের বাবা আলী মিয়া গুদামটিতে দ্রুত তালা দিয়ে কেটে পড়েন।
স্থানীয় মহসিন মিয়া জানান, আলী মিয়া ও তার ছেলের মিরকাদিম বাজারে গোডাউন আছে, সেখানে জিনসিন, নাপা, স্যাকলোসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ অবৈধভাবে পাইকারি বিক্রি করে। ঢাকার চকবাজার থেকে এই ওষুধ এনে বিক্রি করছে বহু বছর ধরে। তাদের কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই।
আল আমিন নামে স্থানীয় আরও এক যুবক জানান, তারা বাবা ছেলে প্রায় ১২ বছর ধরে মুদি দোকানের আড়ালে অবৈধ ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ছোটবেলা থেকেই দেখছি তারা চকবাজার থেকে নকল ওষুধ এনে বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে জেলা ওষুধ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দিন বলেন, মুদি দোকানে ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ বিক্রি বা মজুদ করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড