শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার সিলংকর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেন মোল্লার মেয়ে শারমিন (১৮)। বাবা ছোট বেলায় মারা যায়। ৫ বোন ২ ভাই নিয়ে সংসার। এতো বড় সংসার চালাতে মানুষের বাসা বাড়িতে গিয়ে কাজ করে শারমিন।
জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল ভজেশ্বর বাজারের স্থানীয় প্রভাবশালী ওয়ালটন শোরুম ব্যবসায়ী রুবেল মাদবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাজারের ভেতর প্রকাশ্যে শারমিনকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে শারমিন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে শারমিনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী রুবেল মাদবর দৈনিক অধিকারকে জানান, আমি ৬ তলা বিশিষ্ট খান টাওয়ারের চার তলায় যাতায়াত করি। এই কথা আমার স্ত্রীর কাছে অন্যরকমভাবে বলেছে শারমিন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শারমিন কাজ করেন নড়িয়ার ভোজেশ্বর বাজারের ভেতর ৬ তলা বিশিষ্ট খান টাওয়ারে। এক তলা ও দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, বাকি ৪ তলায় ফ্যামেলি বাসা।
শারমিন দৈনিক অধিকারকে জানান, আমাকে প্রকাশ্যে বাজারে মারধর করে রুবেল। ওই অবস্থায় সে আমাকে হাসপাতালে মিথ্যা কথা বলে ভর্তি করে। সে আমাকে মেরে ডাক্তারকে বলেছে আমি নাকি মাথা ঘুরে পড়ে গেছি। সদর হাসপাতালের ডাক্তার, নার্সরা আমাকে উল্টাপাল্টা চিকিৎসা দিয়েছে। আমি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছি। কাজ করতে অনেক কষ্ট হয় বলেও জানান শারমিন।
ঘটনার মীমাংসা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শারমিন বলে, আমি হাসপাতালে থাকতেই মোহাম্মদ আলী কাকা বলছে আনোয়ার হোসেন মাদবর মীমাংসা করে ফেলেছে। তারা নাকি ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করছে। আমাকে দিয়েছে ৬ হাজার টাকা। এখন আবার বলেছে ২ হাজার টাকা পুলিশকে দিতে হবে। তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু বিচার চাইতে গেলে তো কাম কাজ করতে পারব না। শুনেছি এই বিল্ডিংয়ের মালিক জাহাঙ্গির খান কাজ করতে দেবে না।
দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্তকারী এসআই সারোয়ার দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমি ভিকটিমের কাছে কোনো টাকা চাইনি। তবে সে আমাকে ২ হাজার টাকা দেবে বলেছে।
এ বিষয়ে নড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, ঘটনার মীমাংসা হয়ে গেছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড