• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রতিবন্ধী তিন কন্যা নিয়ে দিশেহারা রিজিয়া বেগম

  মো.তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৩৮
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রতিবন্ধী তিন কন্যা নিয়ে বসে আছেন রিজিয়া বেগম

জন্মই যেন আজন্ম পাপ- লিপিয়ারা, লতামনি ও ঝুমুরের। জন্ম স্বাভাবিক হলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে অজানা রোগে শারীরিক, মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী হয়ে যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ডিমকইল এলাকার হত দরিদ্র নেকবর আলী ও রিজিয়া বেগমের তিন মেয়ে। তাদের হাঁটা-চলার নেই কোনো শক্তি। দিন দিন আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগেও।

একদিকে অভাবের সংসার, অন্যদিকে অসুস্থ সন্তানদের চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন হত দরিদ্র পরিবারটি। অসুস্থ সন্তানদের চিকিৎসার জন্য বিক্রি করতে হয়েছে জমি-জিরাত সবই। খরচ মেটাতে না পেরে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাও। হত দরিদ্র এই বাবা মায়ের দুশ্চিন্তা তাদের অবর্তমানে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এ অবস্থায় সন্তানদের চিকিৎসায় সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন তারা।

তিন কন্যা সন্তানের মাতা মোছা. রিজিয়া বেগম দৈনিক অধিকারকে জানান, অন্যরকম এক জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাদের বড় মেয়ে লিপির বয়স ৩০, মেজো মেয়ে লতামনির বয়স ২৭ ও ছোট মেয়ে ঝুমুরের বয়স ২২। তারা তিনজনই জন্মের পর শারীরিক, মানসিক ও বাক প্রতিবন্ধী।

তিনি আরও জানান, তিনটি সন্তানেরই হাত-পা বিকলাঙ্গ। হাঁটা চলারও নেই কোনো শক্তি। এছাড়াও ধীরে ধীরে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। মেয়েদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এরই মধ্যে জায়গা-জমি বিক্রি করে প্রায় নিঃস্ব পরিবারটি। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা চালু থাকলেও তা একেবারেই নগণ্য। তাদের সহায়তায় সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অপরদিকে তাদের এই অবস্থার মধ্যে নতুন করে নানান রোগে ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে পিতা নেকবর আলী। তিনি ডায়াবেটিকসহ নানান রোগে ভুগছেন। বর্তমানে পায়ের আঙ্গুলে পচন ধরে রাজশাহীর ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে অপারেশনের মাধ্যমে দুটি আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে। তার খরচ যোগাতে গিয়ে আরও বিপদে পড়েছে পরিবারটি। অর্থ সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে তারও চিকিৎসা সেবা। সেখানে আরও বেশ কিছু দিন চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।

নেজামপুর ইউনিয়নের ৭নং ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম মাসুদ দৈনিক অধিকারকে জানান, আমাদের প্রচেষ্টায় তাদের প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয়েছে। সে ভাতার টাকা দিয়ে তিনজনের জীবিকা নির্বাহ করা একে বারেই কষ্টসাধ্য।

প্রতিবন্ধী এই মেয়ে তিনটির চিকিৎসার জন্য, সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসীও।

সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা পেলে আর দশটা মানুষের মত স্বাভাবিক জীবন না পেলেও হয়তো লিপিয়ারা, লতামনি ও ঝুমুরের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যেত, এমন প্রত্যাশায় দিন কাটে পরিবারটির।

ওডি/আরবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড