পালাক্রমে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা

টাঙ্গাইলের সখিপুরে নাজমা (৩৮) নামে এক মহিলাকে সাতজনে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত নওসের আলীর স্ত্রী।

ধর্ষকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় মহিলার ব্যবহৃত মোবাইল ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামি আলমগীর (২৩)। সে উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) টাঙ্গাইল নিম্ন আদালতে এ জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাত মাস পর নাজমা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ৫ অক্টোবর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নাজমার নিজ বাসা থেকে তার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় তার ছেলে আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামে মামলা দায়ের করেন।

নাজমার ব্যবহৃত মোবাইলের সূত্র ধরেই এ ঘটনার প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে সাতজনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম বলেন, এ ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সখিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎল করিব বলেন, মোবাইল ট্র্যাকিং করে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

ওডি/এমবি