মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
৩০ বছর পর শিকলবন্দি থেকে মুক্ত হলেন মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার উত্তর রামগোপালপুর গ্রামের রমা কৃষ্ণ সাহা (৫৫)। সম্প্রতি তাকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে পুলিশ রমা সাহার বাড়িতে গিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। পরে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এএসএম ফেরদৌস জানান, দীর্ঘবছর বন্দি জীবন-যাপন করায় রমা সাহা কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হাতিমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে অভিযানে নেমে রমা কৃষ্ণ সাহাকে শিকলমুক্ত করে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আইনগত সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পত্তির লোভে ৩০ বছর ধরে শিকলবন্দি করে রাখার অভিযোগ করেছেন রমা কৃষ্ণ সাহা। কিশোর বয়সে পিতা গৌরাঙ্গ সাহা মারা গেলে সংসারের হাল ধরেন রমা কৃষ্ণ সাহা। বরিশালের আঞ্জুরহাট থেকে ধান-ডাল এনে মিরকাদিম বন্দরের আড়তে তা বিক্রি করতেন রমা কৃষ্ণ সাহা। সম্পত্তির কারণে জীবনের সোনালী সময়গুলো শিকলবন্দি থেকে তিনি এখন ৫৫ বছরের বৃদ্ধ।
এদিকে, রমা কৃষ্ণ সাহার আত্মীয় স্বজনদের দাবি, বরিশালে ব্যবসা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে রমা কৃষ্ণ সাহা মানসিক ভারসাম্য হারায়। ছেড়ে দিলে অত্যাচার ও উৎপাত করে। এই জন্য তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
তবে স্থানীয়রা জানায়, রাম কৃষ্ণ সাহা ওরফে রমাকে (৫৫) তার আপন ছোট ভাই গনাই সাহা ৩০ বছর আগে ঘরের মধ্যে শিকলবন্দি করে রাখে। পাঁচ বছর আগে গনাই সাহা মারা যায়। তবুও শিকলমুক্ত হতে পারেনি রমা সাহা। গনাই সাহার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মনি রানী সাহা ও তার সন্তানরা এতোদিন রমা কৃষ্ণকে একটা ছোট অন্ধকার কুঁকড়ি ঘরে শিকলবন্দি করে রেখেছিল।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড