ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর সোনাগাজী সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিছেন আদালত।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকালে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিনের আদালতে তাকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুহুল আমিনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও আসামি কামরুন নাহার মনি ও মো. জাবেদ হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তারা দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবনন্দি দেবেন।
এ দিকে এর আগে রুহুল আমিনকে গত শুক্রবার সোনাগাজীর তাকিয়া রোড থেকে আটক করা হয়। অপর আসামি কামরুন নাহার মনিকে ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে এবং জাবেদকে ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ এপ্রিল একই আদালতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে জবানবন্দিতে জাবেদ ও কামরুন নাহার মনির নাম উল্লেখ করেন। তারা জানায়, জাবেদ ও মনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। জাবেদ নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। মনি বোরকা সংগ্রহ এবং নুসরাতের হাত পা চেপে ধরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অপরদিকে এ দুই জনের জবানবন্দিতে উঠে আসে আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতেন। কিলিং মিশনের পর হত্যাকারীরা রুহুল আমিনকে ফোন করে। তখন তিনি বলে- আমি জানি তোমরা চলে যাও।
প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতারসহ মোট ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪ জন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মাদ্রাসা কমিটির সহসভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করে পিবিআই।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড