• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে চাঁদাবাজি ও মানুষ হত্যা

  এম.কামাল উদ্দিন, রাঙ্গামাটি

০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪৪
রাঙ্গামাটি
সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে এসব ভারী অস্ত্র দিয়ে চাঁদাবাজিসহ মানুষ খুন করছে

পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে দিন দুপুরে চাঁদাবাজি, খুন, ঘুম ও মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। তাই পাহাড়ে অস্ত্রধারী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। দেশে বিদেশে সুনাম অর্জনকারী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর অনেক দেন দরবার করে পাহাড়ের কিংবদ্ধন্তি নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেন।

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমার সাথে চুক্তি সম্পাদিত হয়। তখন পাহাড়ের বড় একটি (সশস্ত্র) আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) শান্তি চুক্তির চরম বিরোধী ছিল।

তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপিও শান্তি চুক্তির বিরোধিতা করেছিল। এছাড়াও সাধারণ মানুষও এই চুক্তির পক্ষে ছিল না। তবে পাহাড়ে বসবাসকারী সকল জনগণের মতামত না নিয়ে তখন এই চুক্তি তাড়াহুড়ো করে সম্পন্ন করা হয়েছে। তারপরও শান্তি চুক্তি করে বর্তমান সরকার সফলতা অর্জন করেছেন। কিন্তু প্রকৃত শান্তি এখনও বিরাজ করছে না পাহাড়ে। এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

পাহাড়ের আঞ্চলিক চারটি সংগঠনের বিবাদমান ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। স্বগোত্রের অস্ত্রধারীদের হাতে পাহাড়ি লোকজন ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ শিকার হচ্ছেন। তবে বরাবরের মতো এসব ঘটনায় দায় প্রতিপক্ষের ওপরই চাপাচ্ছে সংগঠনগুলো। এতে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। খোদ উদ্বেগ জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

মূলত এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার, মতের ভিন্নতা আর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন-খারাবিতে জড়িয়ে পড়ছে এসব সংগঠন। যদিও নিজেদের মতো করে তারা ব্যাখ্যা দিচ্ছে ‘পাহাড়ের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছি’। এমনকি এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নামও আসছে। পাহাড়ে ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠছে সশস্ত্র এই অপতৎপরতা।

নির্বিচারে একের পর এক খুন ও হত্যাচেষ্টার সঙ্গে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় আর চাঁদাবাজির ঘটনায় অস্থির হয়ে উঠেছে পাহাড়ের পরিস্থিতি। অগ্নিসংযোগ, ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়নের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ঘটেছে নারী নেত্রী অপহরণের মতো ঘটনাও। বাঙালী জনগোষ্ঠীও এ অবৈধ অস্ত্রের অপতৎপরতার শিকার হচ্ছেন। দুর্বৃত্তদের আটক আর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পরেও আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ করা যাচ্ছে না। সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতেই বাড়ছে এই হত্যাকাণ্ড।

‘ভূ-প্রকৃতির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে’ দাবি করে পুলিশ প্রশাসন বলছে এ জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এই অশুভ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চান পাহাড়ের মানুষ।

মাঝখানে ২০১৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বছর তিনেক পার্বত্যাঞ্চলের কোথাও সংঘাতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ব্যাপক আলোচনা আছে যে, এ সময়ে পাহাড়ের তিন আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (সন্তু লারমা), ইউপিডিএফ ও জেএসএস সংস্কার (এমএন লারমা) এর মধ্যকার ‘অস্ত্র বিরতি’ চলছিল।

কিন্তু ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ‘ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক’ নামের আরেক আঞ্চলিক পাহাড়ি সংগঠনের আত্মপ্রকাশের পর এই ‘সমঝোতা শান্তি’তে ছেদ পড়ে। অভিযোগ উঠে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশের মাত্র ১৮ দিনের মাথায় নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ নেতা অনাদী রঞ্জন চাকমাকে (৩৮) খুন করলে পাহাড়ে খুন খারাবি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

চলতি বছরের গত তিন মাসে পাহাড়ের দুই জেলা রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ২টি জোড়া খুন ও খাগড়াছড়িতে ৭ খুনসহ ২১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো। গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া খবর মতে, সর্বশেষ ১৯ মার্চ রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আ. লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা।

১৮ মার্চ বাঘাইছড়িতে উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারীদের ওপর অস্ত্রধারীদের ব্রাশফায়ারে ৭ জন মারা যান। ১৫ মার্চ খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুপুরে ইউপিডিএফ উপজেলা পরিচালক সুসময় চাকমা ওরফে বিনাশন চাকমাকে (৫৫) গুলি করে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। ৬ মার্চ বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফের উপজেলা পরিচালক উদয়ন চাকমা প্রকাশ চিক্কোধন চাকমাকে (৪০) গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা।

গত ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নারানখাইয়াপাড়া প্রতিপক্ষের গুলিতে তুষার চাকমা (৩০) নামের এক ইউপিডিএফ সমর্থক নিহত হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস সংস্কারকে দায়ী করেছেন প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় সংগঠক মাইকেল চাকমা।

১২ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বাজারে দিনে-দুপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে ধীমান চাকমা নিহত হন। ধীমান চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপের লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি।

৭ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির পানছড়ি বাজারের জেএসএস (এমএন লারমা) কর্মী রণি ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফকে দায়ী করেন সংগঠনটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে কারিগর পাড়ায় মংশিনু মারমা (২৫) ও জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে (২৬) ব্রাশফায়ারে হত্যা করে প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা। জোড়া এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতি-জেএসএসকে দায়ী করে সরকারি দল আওয়ামী লীগ।

গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে রাঙ্গামাটির লংগদুর ভূইয়াছড়া এলাকায় অস্ত্রধারীরা ব্রাশফায়ারে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের পরিচালক পবিত্র চাকমা (৩৮) খুন হন। ১৯ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গাছবানমুখ এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে পিপলু বৈষ্ণব ত্রিপুরা ওরফে রনি নামে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের এক কর্মী নিহত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা সদরের জগন্নাথ পাড়া এলাকায় জেএসএসের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার জন্য জেএসএস সংস্কারের পক্ষ থেকে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফকে দায়ী করা হয়েছে। ৪ জানুয়ারি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে আঞ্চলিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘঠিত বন্দুকযুদ্ধে বসু চাকমা (৩৮) নিহত হয়েছে। নিহত বসু চাকমা জেএসএস (এমএন) লারমা গ্রুপের সদস্য ছিলেন।

২৪ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ির পুজগাং বাজারে দুপুরে অস্ত্রধারীদের ব্রাশফায়ারে চা দোকানি শীখ্য চাকমা (৩২) ও স্থানীয় রাস্তার নির্মাণ শ্রমিক সোহেল রানা (৩০) নিহত হন। এ সময় হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৭ জন। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে ৪টি। এক নারীসহ অপহরণ হয়েছেন ৮ জন। আর আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে সাবমেশিনগান ও বিভিন্ন ধরণের আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে পাহাড়ে নিহত হয়েছেন ৬৭ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটে ৯০টি। গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে ৩৫টি। ১১৯টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ৩ হাজার ২৯৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ও পরদিন তার শেষকৃত্যে যোগ দিতে আসা গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ প্রধান তপনজ্যোতি চাকমা বর্মাসহ ব্রাশফায়ারে ৬ হত্যাকাণ্ড এবং ১৮ আগস্ট খাগড়াছড়ি শহরে ব্রাশফায়ারে ৭ জনকে হত্যার ঘটনা পাহাড়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনায় স্থান পায়। সম্প্রতি বান্দরবান নাইক্ষ্যছড়িতে ৭ জন সন্ত্রাসী র‌্যাবের ব্রাশ ফায়ারে নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার চীফ কালেক্টর ও সন্তু লারমার কাছের লোক জ্ঞান শংকর চাকমা ব্রাশ ফায়ারে মারা গেছে।

এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৪ বছরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১৯৭ জন। অপহৃত হয়েছেন ৪৩৯ জন। গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ২৮টি। ৩৫৪টি বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার ও ৪১১৭ রাউন্ড গুলি জব্দ হয়। এর বাইরেও অনেক খুন ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে যা হিসাবে আসেনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি-স্থিতিশীলতা ব্যাহত করাসহ সরকারের সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় বিশেষ কোনও গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বাঘাইছড়ির হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তিনি এই বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও শোক জানিয়েছেন। এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

গত ১৯ মার্চ গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায়, বিলাইছড়ি উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরেশ কুমার তংচঙ্গ্যাকে মঙ্গলবার গুলি করে হত্যা করার ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর।

সাম্প্রতিক পাহাড়ে খুনখারাবি ছড়িয়ে পড়ায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বাঞ্চিতা চাকমা বলেন, ‘কোন মৃত্যুই সুখকর নয়। অপরাজনীতির কারণেই পাহাড়ের এই ঘটনাগুলো ঘটছে, এটা অতি দুঃখজনক’। এসব বন্ধের উপায় কি এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বোধোদয় না হবে ততদিন এগুলো থামবেনা। তবে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকার ও বেসরকারি কাউকে বিবাদমান গ্রুপগুলোকে এক টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে’।

পাহাড়ে যতগুলো খুনখারাপি ঘটেছে তার সবগুলোতেই ‘পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র থাকার প্রমাণ’ হিসেবেই গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার এমপি।

তিনি বলেন, আমরা বার বার বলে আসছি যে, পার্বত্য এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতেই থাকবে’। তাঁর দাবি, ‘পাহাড়ের মানুষ নিরাপদ নয়। এখনো পার্বত্য অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্রে ব্যবহার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, গুম, হত্যা চাঁদাবাজি থামেনি। আঞ্চলিক দলগুলো অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে পাহাড়কে অশান্ত করে রেখেছে’।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, ‘আমরা জুম্মজনগণের অধিকার আদায়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করি। অথচ পাহাড়ে কিছু হলেই অপরাজনীতির কৌশল হিসেবে আমাদের ওপর দায় চাপানো হয়। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত।

সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতির-জেএসএস রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল খীসা বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের সশস্ত্র কেউ নেই। মূলত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে তা অন্য খাতে প্রবাহিত করতে জেএসএসের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করে আসছে’।

রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূ-প্রকৃতিই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বিঘ্ন করার জন্য বড় অন্তরায়। সমতলের মতো আইনি প্রতিকার কিংবা ব্যবস্থা নেয়ার মতো এখানে পরিবেশ নেই। তবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভিকটিম এগিয়ে আসলেই আইনি প্রতিকার দিতে পুলিশ প্রস্তুত আছে’।

ওডি/আরবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড