টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ ৩ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

কক্সবাজারে টেকনাফে রোহিঙ্গার সঙ্গে পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহতরা শীর্ষ ডাকাত ছিল।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের এইচ ব্লকে হাবিরের ঘোনা পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি এলজি এবং ৭ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- নুর আলম (২৩), মোহাম্মদ জুবায়ের (২০) ও হামিদ উল্লাহ (২০)। তারা তিন জনই নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে বাসিন্দা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

পুলিশ জানায়, নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের এইচ ব্লকে হাবিরের ঘোনা পাহাড়ের নিচে অস্ত্র মজুদ রয়েছে এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের একটি গ্রুপের লোকজন পুলিশের ওপর গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় ডাকাত দলের লোকজন পাহাড়ে ঢুকে পড়লে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই তিন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে।

পরে তাদের মুমূর্ষ অবস্থায় টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে নেওয়ার জন্য বলে। সে সময় তারা পথে মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি এলজি ও সাত রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ‘পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে তিন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তবে এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

ওডি/এসজেএ