বাল্যবিয়ে পড়ালেন ভুয়া কাজী

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় কাজী (বিবাহ রেজিস্ট্রার) না হয়েও বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আসাদুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের মাঝগ্রামে বিয়েটি পড়ানো হয়।

এ দিকে এই ঘটনা জানার পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের প্রকৃত কাজী আবদুল ওয়াহাব। অভিযুক্ত আসাদুল ইসলাম একই ইউনিয়নের কুবিরদিয়ার গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে এবং এম.কে আর আহম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুবিরদিয়ার এলাকার এম.কে আর আহম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে ছাত্রী ছালমা খাতুন ও আনিসুর রহমানের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর সম্পর্কের ব্যাপারে জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের দুজনকে মাদ্রাসায় আসতে নিষেধ করে। পরে গোপনে ২৯ মার্চ কাজী না হয়েও এম.কে আর আহম্মাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক আসাদুল ইসলাম ওই দুজনের মধ্যে বিয়ে পড়ান বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে বিষয়টি জানার পর মূলগ্রাম ইউনিয়নের মূল কাজী আবদুল ওয়াহাব তথ্য প্রমাণসহ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, সহকারী মৌলভী আসাদুল ইসলাম রাজ্জাক কাজীর কাছ থেকে বিবাহ রেজিস্টার নিয়ে ওই দুজনের মধ্যে বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করিয়েছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সহকারী মৌলভী শিক্ষক আসাদুল ইসলাম জানান, ‘ওই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই বিষয় নিয়ে তিন বার বিচার-সালিশ হয়েছে। তাদের বিয়ে আমি পড়াইনি। তবে মেয়ের বাড়িতে বসে নিরীক্ষণ (বিয়ে ঠিক করে রাখা) দেয়া হয়েছে।’

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার জানান, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ওডি/এসএএফ