টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরে বখাটে স্টাইলে চুল কাটা প্রতিরোধে অভিনব এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ভূঞাপুর থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম। তার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলার সচেতন অভিভাবকবৃন্দ।
ভূঞাপুরে হেয়ার স্টাইলে চুল কাটাসহ দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে অভিযুক্ত সদস্যকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ছাত্র ও উঠতি বয়সের যুবকসহ সকলের হেয়ার স্টাইল, চুল কাটাসহ দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং এবং রং না করার বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি শীলদের (নাপিত) ডেকে সতর্ক করে দেন। পরে উপজেলা শীল (নাপিত) সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি নোটিশের মাধ্যমে সকল সদস্যদের এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
উপজেলা শীল (নাপিত) সমিতির উপদেষ্টা অখিল চন্দ্র শীল বলেন, ওসি সাহেবের নির্দেশনায় আমরা হেয়ার স্টাইল করে চুল, দাঁড়ি ও গোঁফ কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। কয়েকদিন আগেও ছাত্র ও যুবকরা স্টাইল করে চুল কাটাতো, এখন তারা স্বাভাবিক ভাবেই চুল কাটাচ্ছে।
চুল কাটার উপর ওসির নিষেধাজ্ঞা (ছবি : দৈনিক অধিকার)
তিনি আরও বলেন, থানার ওসি মহোদয় আমাদেরকে ডেকে নিয়ে ছাত্র ও উঠতি বয়সের যুবকসহ সকলের স্টাইল করে চুল কাটা, দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং এবং রং না করার বিষয়ে আমাদের সতর্ক করে দেন। এছাড়াও হেয়ার স্টাইলের কোন ক্যাটালগ দোকানে না রাখতেও বলেন তিনি। পরে তার নির্দেশনায় আমরা উপজেলা শীল (নাপিত) সমিতির আওতায় সকল সদস্যকে নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি।
কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভূঞাপুর থানার ওসি রাশিদুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়ে শাহিনুর ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান, বর্তমান সময়ে কিছু স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এমন ভাবে চুল কাটে দেখে মনে হয় না ভদ্র ঘরের সন্তান। একজন ছাত্রের চুল কাটার ধরণ হতে হবে ভদ্র মার্জিত নম্র। ওসি সাহেব যে উদ্যোগ নিয়েছেন আমি তাকে স্বাগত জানাই।
চান মিয়া নামের এক কলেজ ছাত্রের বাবা জানান, শুধ ভূঞাপুর নয়, দেশের প্রত্যেকটি থানার ওসিদের এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ। আমরা তার এ নির্দেশনাকে ধন্যবাদ জানাই।
ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, হেয়ার স্টাইলে চুল কাটার বিষয়ে প্রায় সময়ই ছাত্র ও যুবকদের অভিভাবকরা আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করতেন। ছাত্র ও যুবকরা হেয়ার স্টাইলে চুল কেটে বখাটেদের মতো ঘুরে ফেরে। এতে করে তারা সমাজের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাদের দেখতেও অনেকটা বেমানান লাগে। পরে অভিভাবক, শিক্ষক ও উপজেলা শীল (নাপিত) সমিতির সভাপতিসহ সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হেয়ার স্টাইলে কেউ চুল কাটাসহ দাঁড়ি ও গোঁফে মডেলিং এবং রং করলে জরিমানাসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে জেলার সখীপুর থানার ওসি আমীর হোসেনও উপজেলা শীল (নাপিত) সমিতির সদস্যদের এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ও সতর্ক করেন।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড