সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বোরো ফসলরক্ষা বাঁধে উঠার অপরাধে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ইয়ামিন মিয়ার (৭) ডান হাতের চারটি আঙ্গুল কেটে দেয়ার ঘটনায় সেই যুবলীগ নেতা অদুদ মিয়া (৩৩) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে শিশু নির্যাতনকারী যুবলীগ নেতা অদুদ মিয়াকে উপজেলার সোলেমানপুর বাজার থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বিকালে আদালতে হাজির করলেও তার জামিন শুনানি না হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। তবে অভিযুক্ত অদুদ মিয়া যুবলীগের কেউ নয় বলে জানিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ শনিবার বিকালে সুলেমানপুর গ্রামের শাহানুর মিয়ার ছেলে শিশু ইয়ামিন গরুর ঘাস কাটার জন্য এলাকার মহালিয়া হাওরে যায়। বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে গড়িয়ে নিচে পড়ে যায় সে। এতে নির্মাণাধীন বাঁধের ড্রেজিং করা কাজের সামান্য ক্ষতি হয়। সে সময় (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) পিআইসির সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি অদুদ মিয়া বিষয়টি দেখতে পেলে ইয়ামিনের হাতে থাকা কাস্তে কেড়ে নিয়ে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল কেটে দেন।
আহত ইয়ামিন মিয়াকে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে সুনামগঞ্জ সদর ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেন।
এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৯ মার্চ আহত শিশু ইয়ামিনের বাবা শাহানুর মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার মূল হোতা অদুদ মিয়া ও তার ছোট ভাই আলম মিয়াকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ আলম মিয়াকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছিল। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছাড়া ছিল ঘটনার মূল হোতা যুবলীগ নেতা অদুদ মিয়া।
এ ঘটনায় পুলিশ অদুদ ও তার ভাই আলমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আলম মিয়া আদালত থেকে জামিনে থাকলেও অদুদ মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার এসআই আমির উদ্দিন বলেন, ‘শিশু ইয়ামিনের চার আঙ্গুল কেটে দেয়ার মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। পলাতক আসামি অদুদ মিয়া প্রায় এক বছর পলাতক থাকার পর বাড়ি ফিরে আসলে বুধবার দুপুরে সোলেমানপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড