মো. মুশফিকুর রহমান, সাতক্ষীরা
অরক্ষিত সাতক্ষীরার ঐতিহাসিক সোনাবাড়িয়ার মঠ-মন্দির। আড়াইশ বছর আগে নির্মিত এ মন্দির এখন মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে ১৪ কুঠুরির (কক্ষ) এ মন্দিরের নিচতলার একটি কুঠুরিতে ময়লার স্তূপ দেখা যায়। দ্বিতীয় তলার অপর এক কুঠুরিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মাদক ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ করার সরঞ্জাম। দেখা যায় ফেনসিডিলের বোতল, সিগারেটের প্যাকেট ও কন্ডম।
এদিকে মন্দিরটির মূল ফটকের সামনেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের একটি সাইবোর্ড আছে। এতে লেখা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি এই পুরাকীর্তিটির কোনো রকম ধ্বংস বা অনিষ্ট সাধন করলে বা এর কোন বিকৃতি বা অঙ্গচ্ছেদ ঘটালে বা এর কোন অংশের উপর কিছু লিখলে বা খোদাই করলে বা কোন চিহ্ন বা দাগ কাটলে, ১৯৬৮ সালের ১৪ নম্বর পুরাকীর্তি আইনের ১৯ ধারার অধীনে তিনি সর্বাধিক এক বছর পর্যন্ত জেল বা জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
যশোর জেলার বাগাচড়া থেকে মঠ-মন্দিরের ইতিহাস জানতে ও দেখতে আসা কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সোনাবাড়িয়া মঠ-মন্দিরের কথা অনেকবার শুনেছি। ঐতিহাসিক নিদর্শনটি দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। সে ইচ্ছা পূরণ করতেই এখানে আসা কিন্তু এখানে এসে দেখছি নোংরা পরিবেশ। মাদকসেবীদের অবাধ আনাগোনা।
এসব বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতার আসাদুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক মঠবাড়ি মন্দিরগুচ্ছ সাতক্ষীরা তথা পুরো দেশের একটি বিশেষ পরিচিতি। তবে এখানে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অপকর্ম হচ্ছে। বিশেষ করে মাদকসেবীরা এখানে এসে মাদক সেবন করে।
তিনি আরও বলেন, এখানে মাঝেমধ্যেই অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকা অবস্থায় যুবক-যুবতীদের পাওয়া যায়। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ-বিচারও হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সাইনবোর্ড দিয়ে সতর্কতা জারি করলেও সেটা যেন কেউ দেখেনই না।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকার্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মঠ-মন্দিরে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় এটা আমার জানা ছিল না। স্থানীয় কেউ এমন অভিযোগও করেননি। তবে আমি শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, ঐতিহাসিক স্থানটিতে যে এমন অপকর্ম হয় তা আমার জানা ছিল না। শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড