গাজীপুর প্রতিনিধি
চার বছর বয়সী আমেনা। তাকে চার মাস আগে শনির আখড়া এলাকা থেকে চুরি করে দোলা (৩৫) নামের পাষণ্ড এক মহিলা। গতকাল সোমবার (১৮ মার্চ ) রাত ১০টার সময় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ২ নম্বর গাজীপুর ইউনিয়নের ভুতুলিয়া গ্রামে কৌশলে বাচ্চাটিকে রেখে পালিয়ে যায় প্রতারক মহিলা ( দোলা)।
আমেনার সাথে কথা বলে জানা যায়, গত চার মাস আগে ঢাকার শনির আখড়া এলাকার তেলের পাম্পের পাশ থেকে ধরে নিয়ে আসে দোলা নামের ওই মহিলা।
শিশুটির সাথে কথা বলে জানা যায়, শিশুটির নাম আমেনা (৪), তার মায়ের নাম পারভিন আক্তার, বাবার নাম মোস্তফা। তাদের বাড়ি ঢাকার শনির আখড়া এলাকায়। সে তার বাবা মায়ের কাছে ফিরে যেতে চায়।
স্থানীয়রা জানান, ১৮মার্চ রাত ১০টার সময় এক মহিলা এই বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার ভুতুলিয়া গ্রামের নায়েব আলী মার্কেট নামক স্থানে এসে লোকজনের কাছে বলেন, আমি টাঙ্গালের সখিপুর যাব। আমার ঢাকা থেকে আসতে অনেক রাত হয়ে গেছে, তাই আপনাদের বাড়িতে বাচ্চাটিকে নিয়ে একটা রাত থাকতে দিবেন। তখন নায়েব আলী মার্কেটে থাকা লোকজন স্থানীয় জহির উদ্দিনের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
পরে জহির উদ্দিন তার বাড়িতে বাচ্চাসহ মহিলাকে নিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে মহিলা বাচ্চাটিকে রেখে ওয়াশরুমে গেলে বাচ্চাটি জহির উদ্দিনকে বলেন, ওই মহিলা আমার কিছুই লাগে না। সে আমাকে চুরি করে নিয়ে এসেছে। আমি আমার বাবা মায়ের কাছে ফিরে যেতে চাই। পরে জহির উদ্দিন মহিলাকে বাচ্চাটির বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা কৌশলে পালিয়ে যায়।
রাতে জহির উদ্দিন এলাকার লোকজনকে ডেকে মেয়ের সব কথা শোনেন, মেয়েটি তার মা-বাবাসহ পরিচয় বলতে পারে। ১৯ মার্চ মঙ্গলবার বিষয়টি শ্রীপুর থানা ও স্থানীয় সাংবাদিকসহ এলাকাবাসীকে বিষয়টি অবহিত করেন জহির উদ্দিন।
শ্রীপুর থানার এস আই রাজীব কুমার সাহা জানান, জহির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছে, বাচ্চাটি তার মা-বাবার নামসহ ঠিকানা বলতে পারে। পরে জহির উদ্দিনকে বলা হয়েছে মেয়ের ঠিকানা মতো পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তারপরও যদি বাচ্চাটি তার ঠিকানা চিনতে ভুল করে তাহলে (শনির আখরা) স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড