রংপুর প্রতিনিধি
নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদের স্ত্রীর বাড়ি রংপুর নগরীর গুপ্তপাড়ায়। তিনি মরহুম আইনজীবী কাজী নাসিমুল হক এর পাঁচ মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে। কেশোয়ারা সুলতানা মারা যাননি বলে জানিয়েছেন তার বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ এবং রংপুরে বসবাসরত তার স্বজনরা।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১১টায় রংপুরের গুপ্তপাড়ায় কেশোয়ারা সুলতানার বাসায় গেলে তার ভাই বায়জীদ বিল্লাহ ও নাজমুস সাকিব রঞ্জু দৈনিক অধিকারকে একথা জানান। ঘটনার পর তারা কেশোয়ারা সুলতানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছেন যে তিনি বেঁচে আছেন তবে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে করছেন তারা। তারা জানান, বিভিন্ন মিডিয়ায় বোনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বায়জীদ বিল্লাহ কেশোয়ারা সুলতানার ছোট ভাই তিনি জানান, নিহত ড. আব্দুস সামাদের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্যা গ্রামে। তার বাবা জামাল উদ্দিন সরকার। পাঁচ ভাই ও ছয় বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার ছোট ভাই আসাদ সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ড. সামাদ ২০১৩ সালে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে স্ত্রী কেশোয়ারা সুলতানা, ছেলে তোহান মোহাম্মদ, তারেক ও তানভিরসহ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন। পরে বড় ছেলে তোহান মোহাম্মদ দেশে ফিরে এসে বসবাস করলেও বাকিরা সেখানেই থেকে যান। সেখানে তিনি মসজিদে নুর এ মোয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।
কেশোয়ারা সুলতানার ছোট ভাই নাজমুস সাকীব জানান, সবাইকে নিয়ে আগামী ঈদুল ফিতরের আগে তার দেশে ফেরার কথা ছিল। বিগত ১৯৮০ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী কেশোয়ারা সুলতানাকে বিয়ে করেন। কেশোয়ারা সুলতানা পাঁচ বোন দশ ভাইয়ের মধ্যে বোনদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। পরে তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করে ১৯৮২ সালে ড. আব্দুস সামাদের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান। ১৯৮৭ সালে স্বামীর সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন পরে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে গৃহবধূ হিসেবে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড